ED reveals how garden reach businessman used to fool people with mobile gaming app

E-Nuggets: মোবাইল গেমিং অ্যাপ বানিয়ে কী ভাবে লোক ঠকানো হত, ফাঁস করল ইডি

গার্ডেনরিচে নাসের আহেমদ খান নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এখনও পর্যন্ত সাত কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার হয়েছে। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাসের খানের ছেলে আমির খান। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন কলকাতার ছয় জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পৃথক পৃথক দল। ইডি জানিয়েছে, ‘ই-নাগেট’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল নাসেরের ছেলে আমির খান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি জানিয়েছে, লোক ঠকানোর উদ্দেশ্যেই এই গেমিং অ্যাপটি বানিয়েছিলেন আমির। প্রাথমিক ভাবে মোবাইলে এই গেম যাঁরা খেলতেন, তাঁদের আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হত। লোভনীয় কমিশনও মিলত। তা দেখেই অ্যাপটির প্রতি সাধারণ মনুষের ঝোঁক বাড়ে বলে দাবি ইডি-র। এই গেম খেলার পর ওয়ালেটে যে পরিমাণ টাকা জমত, তা সহজেই বিনা বাধায় তুলে নিতে পারতেন গ্রাহকরা। ফলে খেলাটির প্রতি আরও বেশি করে আকৃষ্ট হতেন অনেকে।

আরও পড়ুন: পুলিশক ঘুষ চাইলেই সাসপেন্ড করুন, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

যখন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা ধরে নেন, অ্যাপটি ঠিকঠাক, তখন তাঁরা আরও বেশি অর্থ এই অ্যাপে ব্যবহার করতে শুরু করেন। ব্যবহারকারীরা ভেবেছিলেন, বড় অঙ্কের টাকা ব্যবহার করা হলে, আরও বেশি টাকা তাঁরা ফেরত পাবেন। আর তাতেই হল কাল। ব্যবহারকারীরা যখনই একটি মোটা অঙ্কের টাকা এই অ্যাপে বিনিয়োগ করে ফেললেন, তখনই হঠাৎ করে টাকা তোলার অপশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয় অ্যাপে। অজুহাত দেওয়া হয়, সিস্টেম আপগ্রেডেশন। এরপর সব ব্যবহারকারী আগের প্রোফাইলের যাবতীয় তথ্য উড়ে যায়। আর তখনই ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারেন, কীভাবে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয় আমির খান এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪০৯, ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭১ এবং ৩৪ ধারায় এফআইআর করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন অভিযানে নামে ইডির তদন্তকারী দল।

শনিবার সকাল সকাল শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তার পরেই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। বিকেল ৩টে পর্যন্ত গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়ি থেকে অন্তত আট কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক টাকা গোনার যন্ত্র আনিয়ে জোর কদমে টাকা গোনার কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

আরও পড়ুন: ED: অন্তত সাত কোটি টাকা উদ্ধার গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়িতে, এল নোট গোনার যন্ত্র