খাস কলকাতায় সঙ্গিনীকে গুলি করে আত্মঘাতী যুবক! গড়িয়াহাটের কাছেই একটি গেস্ট হাউসের ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক সূত্রের খবর, সঙ্গিনীকে গুলি করার পরে নিজের মাথায় গুলি চালিয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গিনীর এখনও প্রাণ আছে, যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ গেস্ট হাউসে ঢোকেন যুগল। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। গেস্ট হাউসের চার তলার ৩০১ নম্বর ঘরে তাঁরা ছিলেন। ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ আচমকা গুলির আওয়াজ শুনতে পান গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে রিসেপশনে চলে আসেন তরুণী। জানান, যুবক তাঁর পেটে গুলি করেছেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ওই ঘর থেকে আরও একটি গুলির শব্দ শোনা যায়। গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ সেখানে গিয়ে দেখেন, যুবক নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন।
গেস্ট হাউসের এক কর্মচারী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ওঁরা এসেছিলেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছিলেন। তার পর কে কী করেছেন, আমরা বলতে পারব না।’’
লেক থানা এলাকার ওই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বয়স ওই তরুণ-তরুণীর। মৃত যুবকের নাম রাজেশ সাউ। জখম তরুণী বজবজের বাসিন্দা। তরুণীর নিক্কু কুমারী দুবে। তিনি কোথাকার বাসিন্দা, তা এখনও জানা যায়নি। যুবকের কাছে নাইন এমএম পিস্তল ছিল। সেটি দিয়েই তরুণীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তবে তাঁরা প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন কিনা, কেনই বা গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন, কেনই বা চলল গুলি, এসব এখনও অন্ধকারে।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। ওই তরুণ ও তরুণীর কী সম্পর্ক ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেনই বা তাঁরা দুজনে গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। আগ্নেয়াস্ত্রটি কোথা থেকে জোগাড় করেছিলেন তরুণ, তা তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।