শুক্রবার সাতসকালে গল্ফগ্রিনের (Golf Green kolkata)একটি আবর্জনার স্তূপে পাওয়া গেল কাটা মুন্ডু। পরে সেটি যে এক মহিলার তা নিশ্চিত হয় পুলিশ।এ দিন সকালে প্রাতঃভ্রমণকারীরা আবর্জনার স্তূপের কাছে কয়েকটি কুকুরকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। একটি প্লাস্টিকের আশেপাশে কিছুর অস্তিত্ব তাদেরই প্রথমে নজরে আসে। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ওই প্লাস্টিকটিতে কী আছে দেখতে যান, চমকে ওঠেন, তাতে ছিল কাটা মুন্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তাঁর দেহের বাকি অংশ কোথায়? ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে? মুন্ডু সেখানে এল কী ভাবে-এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। রিজেন্ট পার্ক থানা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারাও। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন এই নৃশংসতা? মুন্ডুটি কার? বাকি দেহাংশও কি টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়েছে অন্য কোথাও? নেপথ্যে কে বা কারা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি মামলা রুজু করেছে স্থানীয় থানা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই আবর্জনার স্তূপের থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি ফ্ল্যাটেও গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটের পার্কিং লটে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ কুকুর। এই ঘটনার সঙ্গে ওই আবাসনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। গল্ফগ্রিনের মতো ব্যস্ত এলাকায় কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের অনুমান, মহিলাকে খুনের পর শুধু মাথাই আলাদা করা হয়নি, টুকরো করা হয়েছে গোটা দেহ। সম্ভবত প্রমাণ লোপাটে দেহাংশ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন এলাকার আবর্জনার স্তূপে। সেই কারণেই, সংলগ্ন এলাকার ভ্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দেহ বস্তায় ভরে জলে ফেলে দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ফলত, কাটামুন্ডুর রহস্য উদঘাটনে আবর্জনার স্তূপ, জলাধার থেকে শুরু করে বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও।