সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কাটতে চলেছে! রাজ্যপালকে সাত দিনের মধ্যে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যা মেনে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস Governor Ananda Bose।এক সাক্ষাৎকারে বোস বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এই নির্দেশ আমি কার্যকর করব।’’
রাজ্য সরকারের অধীন ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে রাজ্যপালের কাছে বাছাই করা কিছু নামের তালিকা পাঠাতে বলেছে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজভবন বনাম নবান্নের বিবাদ চলছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা আশাপ্রকাশ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দেওয়া নতুন তালিকা থেকে রাজ্যপাল আরও কয়েকজনকে উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন। যে সব বিশ্ববিদ্যালয় বাকি থাকবে, সেগুলির জন্য সুপ্রিম কোর্ট একটি সার্চ কমিটি গড়তে পারে।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজভবন রাজ্যপাল বিবাদ চলছে। সুপ্রিম কোর্টের আশা, এর ফলে সেই বিবাদ মিটবে। রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বেছে নেবেন রাজ্যপাল। যেগুলি বাকি থাকবে সেগুলির জন্য সুপ্রিমকোর্ট সার্চ কমিটি গড়তে পারে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ এপ্রিল।উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবন বনাম নবান্নের বিবাদ মেটাতে সুপ্রিম কোর্ট এর আগে ‘সার্চ ও সিলেকশন’ কমিটি গঠনের জন্য রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে নাম চেয়েছিল। আজ অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই রাজ্যের তালিকা থেকে ছ’জনের নামে অনুমোদন দিয়েছেন। রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি অভিযোগ তোলেন, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রেখেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল তার প্রতিবাদ জানান। রাজ্য সার্চ কমিটির সদস্য সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করার জন্য বিল পাশ করেছিল। তাতে বিজেপির অভিযোগ ছিল, শাসক দল উপাচার্য নিয়োগে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চাইছে। আজ অ্যাটর্নি জেনারেল বেঙ্কটরমণি বলেন, এই বিষয়টি স্পষ্ট। ফলে বেশি বলার প্রয়োজন নেই।