Governor Jagdeep Dhankhar announced the -prorogues of the assembly session

Jagdeep Dhankhar: রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা রাজ্যপালের

স্থগিত রাজ্যের বাজেট বিধানসভা অধিবেশন। রাজ্য মন্ত্রিসভার সুপারিশ মেনেই বিধানসভা ‘প্রোরোগ’ করলেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। অর্থাৎ সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন স্থগিত করে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শনিবার টুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

টুইটে ধনখড় স্পষ্ট লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী ১৭৪ ধারা ২ নম্বর উপধারা বলে আমি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করছি।’ সঙ্গে রাজ্যপালের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।রাজ্যপালের ঘোষণা ঘিরে কার্যত জল্পনা শুরু হয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই  বঙ্গ বাজেট অধিবেশনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে রাজ্যপালের এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও ধনখড় স্পষ্ট জানিয়েছেন,  রাজ্যের মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যপাল এভাবে টুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে পারেন না।

আরও পড়ুন: সিগন্যাল ছাড়াই রেললাইনে কাজ! ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষ দুরন্ত গতিতে আসা বর্ধমান লোকালের

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিধানসভার দু’টি অধিবেশন হয়েছে। প্রথমটি বাজেট অধিবেশন, দ্বিতীয়টি শীতলাকীন। ১৭ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দেন। ফলে পরের অধিবেশন ডাকতে পরিষদীয় দফতরের তরফে আর রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সংসদীয় রীতি অনুযায়ী বাজেট অধিবেশন শুরু হতে পারে কেন্দ্রের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে। এবং বাজেট অধিবেশন শুরু হয় রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই।

সূত্রের খবর, সাধারণত বছরের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই পরিষদীয় দফতর অধিবেশন শেষের ফাইল রাজভবনে পাঠিয়ে দেয়। তাতে দ্রুতই স্বাক্ষর করে দেন রাজ্যপাল। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কে জটিলতা যথেষ্ট। তাই গত বছর ১৭ নভেম্বর অধিবেশন শেষ হয়ে গেলেও, এত দিন সেই ফাইল রাজভবনে পাঠানো হয়নি। পরিষদীয় দফতর থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সেই ফাইল রাজভবনে পাঠানো হলে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই ফাইলে স্বাক্ষর করে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এ ক্ষেত্রে এই স্বাক্ষর করার বিষয়টি রাজ্যপাল টুইট করে জানানোয় তাঁর কৌশলী পদক্ষেপই দেখছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।

আরও পড়ুন: Bidhannagar Municipal Election: বুথের ভিতরেই হাতাহাতি দুই মহিলা প্রার্থীর, বিধাননগরে সাক্ষী পুলিশ