করোনার থাবা এবার কলকাতার হাসপাতালগুলিতে ৷ কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে ৭০ জন করোনা আক্রান্ত বলে খবর । শুধু তাই নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও ৩৭ জন করোনা আক্রান্ত ৷ এই আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স সবাই রয়েছেন (Covid cases Spike in kolkata hospitals) ৷
রাজ্যর একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন চিকিৎসক। ন্যাশনাল মেডিক্যালে কলেজ এবং হাসপাতালে সংখ্যাটা ৮০ জন, এঁদের মধ্যে ৯ জন জুনিয়র চিকিৎসক। রেহাই পায়নি আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে এবং হাসপাতাল ৷ সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০।
চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬। ব্যাপক হারে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সরকারিভাবে এবিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, এই হারে যদি চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হতে থাকলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে। তবে পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে যায়নি বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair: নির্ধারিত সময়ে হবে বইমেলা? কড়া বিধি-নিষেধে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ
এতজন চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী কী করে আক্রান্ত হলেন ? প্রশ্ন উঠছে, চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মীরাই যদি আক্রান্ত হন, তাহলে সাধারণ মানুষের চিকিত্সা হবে কী করে ? জুনিয়র চিকিত্সকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা তো প্রধানত হস্টেলে থাকেন। হস্টেলে যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তো মারাত্মক অবস্থা হবে ! এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যখন শিয়রে তখন কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে একসঙ্গে এতজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর রীতিমতো উদ্বেগের ৷ চিকিৎসকরাই যদি করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে রোগীরা চিকিৎসা পাবেন কি করে ? হাসপাতালের পরিষেবা কীভাবে চলবে ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে ৷
আরও পড়ুন: KMC: ফিরহাদের হাতে অর্থ, অতীন পেলেন স্বাস্থ্য; দফতর বণ্টনে অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব নয়া মেয়রের