পায়ের ক্ষত সারাতে কয়েক সপ্তাহ বাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী পুজোর উদ্বোধনেও তাঁকে মণ্ডপে মণ্ডপে যেতে দেখা যায়নি। করেছিলেন ভার্চুয়াল উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর এ ধরণের ঘটনা নজিরবিহীন। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের নেতা, কর্মীদের উদ্বেগ প্রকাশ করতেও দেখা যায়। ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তা জানিয়েছেন মমতা।
শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে গিয়েছিলেন। আর বুধবারই নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমার ইনফেকশনটা সেপটিক টাইপের হয়ে গিয়েছিল ভুল চিকিৎসার জন্য। ফলে হাতে স্যালাইনের চ্যানেলের মতো করে চ্যানেল লাগানো হয়েছিল। সাতদিন চ্যানেল করা হয়েছিল। সেই অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি।’
স্পেন সফরে পায়ের পুরনো আঘাতে নতুন করে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্পেন ও দুবাই সফর সেরে কলকাতায় ফেরেন তিনি। পরের দিন, অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চিকিৎসা হয়। সে দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন তিনি। তার পর কিছু দিন বাড়িতে থেকেই প্রশাসনিক ও দলীয় কাজ সামলেছেন। গত ২৭ অক্টোবর রেড রোডে পুজো কার্নিভালের দিন তিনি বাড়ি থেকে বার হন। মঙ্গলবার গিয়েছিলেন নবান্নে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের ক্লিপ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘‘এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’’ প্রসঙ্গত, মমতার হাতেই রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এটাই হল রাজ্যের সেরার সেরা হাসপাতালের শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞাপন।’’