Hunger Strike: Senior doctors of RG Kar Medical College Hospital resigned en masse in support of junior doctors

Hunger Strike: জুনিয়রদের সমর্থন, আর জি করে গণইস্তফা ৫০ সিনিয়র চিকিৎসকের

জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ সিনিয়র চিকিৎসকদের। গণইস্তফা আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন ডাক্তারের। এর মধ্যে বিভাগীয় প্রধানরাও রয়েছেন বলে খবর। জুনিয়রদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে এসএসকেএম, এনআরএস-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও একই পথে হাঁটতে পারেন বলে খবর। এতে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়ার আশঙ্কা।

জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবিপূরণে অনশন শুরু হয়েছে ধর্মতলায়। সেখানে যোগদানকারীর সংখ্যা বাড়ছে। জুনিয়রদের এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ জানিয়ে সোমবার থেকেই ৩ থেকে ৪ জন সিনিয়র চিকিৎসক অনশনব মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী। আর রাতে সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ”প্রত্যহ সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা, বারো ঘন্টা করে রিলে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়িত করতে চলেছি।”

তবে রিলে অনশনের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরেই গণ ইস্তফাপত্রে সই করলেন আর জি করের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিভাগীয় প্রধানও রয়েছেন। এদিন বিভাগীয় প্রধানদের একটি বৈঠক ছিল। সেখানেই গণইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে খবর। পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে, জুনিয়রদের আন্দোলনকে আরও শক্ত করতে এই পথে হাঁটলেন তাঁরা। সিনিয়র ডাক্তাররা সাফ জানিয়েছেন, ইস্তফাপত্র দিলেও রোগীদের পাশ থেকে তাঁরা সরছেন না। হাসপাতালেই থাকবেন। পরিষেবা দিয়ে যাবেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিপূরণে সরকারকে সময় দেওয়ার পরও কোনও সদর্থক সাড়া না পেয়ে চাপ বাড়াতে রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা একই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে উৎসবের মরশুমে ডাক্তারদের এই পদক্ষেপ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

প্রসঙ্গত, গতকালই নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন, ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েই দেখছে সরকার। ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বটন-এর কাজ শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে।

এই প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, সবাই মিলে হাসপাতালের পরিষেবা আরও ভাল করার কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাবে।

কিন্তু এদিন অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীরা সাফ জানান, আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের পাশাপাশি কলেজে কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি, থ্রেট কালচার-সব ধরনের বেনিয়ম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই আরজি কর হাসপাতালেও শুরু হল গণইস্তফা।