ips damayanti sen will investigate 4 rape case of west bengal ordered by calcutta high court

High Court: দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে চার ধর্ষণ মামলার তদন্ত, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

রাজ্যে চারটি গণ ধর্ষণের মামলার তদন্তে দুঁদে আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের উপরই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। দময়ন্তীর নেতৃত্বে এই ঘটনাগুলির তদন্তের নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই ধর্ষণের ঘটনায় সিট গঠন করেছে হাইকোর্ট। রাজ্যের উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সিটের তদন্তের উপরে নজরদারি চালাবেন দময়ন্তী সেন।বর্তমানে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার ২ পদে রয়েছেন দময়ন্তী সেন।

আগেই মাটিয়া, মালদহ, দেগঙ্গা, বাঁশদ্রোণী -চারটি ধর্ষণের ঘটনায় হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়েছিল। হাঁসখালি কাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের হয় সোমবার। মঙ্গলবার প্রথম চারটি মামলার একসঙ্গে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দময়ন্তী সেনকে চেয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজ্যের পক্ষ থেকে আইপিএস সুমনবালা সাহুর নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু অবশেষে আদালত দময়ন্তী সেনকেই এই ধর্ষণ মামলাগুলির তদন্তের জন্য বেছে নেয়।

এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ঘটনার দিকে আলাদা করে নজর রাখছি। যদি কোনও ঘটনায় আলাদা করে কোনও এজেন্সি বা কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের প্রয়োজন পড়ে, সেটাও আমারা করব। এই ধরনের ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ। আগে দিল্লি বা দেশের অন্য জায়গা থেকে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যেত।’ উল্লেখ্য, ২০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।

আরও পড়ুন: SSKM-এ ভর্তি অনুব্রত মণ্ডল, ‘অসুস্থতার জন্য যেতে পারছি না’, CBI-কে চিঠি তৃণমূল নেতার

পাশাপাশি অন্যদিকে, রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘পরিকাঠামো থাকার পরেও কেন এই ঘটনা? কেন বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটছে?’ উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “এই রাজ্য মহিলাদের জন্য অন্যতম সুরক্ষিত রাজ্য। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।”

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দময়ন্তী সেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার। এর আগে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলায় তিনি তদন্ত করেছিলেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডকে সাজানো ঘটনা বললেও, দময়ন্তী সেন তদন্ত রিপোর্টে  ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যে কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখেও পড়েছিলেন। তাঁকে অপসারিতও করা হয়েছিল। সেই ঘটনার ঠিক ১০ বছর পর আবার সেই রাজ্যের একাধিক ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভার পেলেন দময়ন্তী।  এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই দায়িত্ব না নিতে চাইলে দময়ন্তী সরাসরি আদালতকে জানাতে পারেন।

আরও পড়ুন: Hanskhali Rape: মেয়েটার শুনেছি অ্যাফেয়ার ছিল! একে কি ধর্ষণ বলবেন? প্রশ্ন মমতার