তৃণমূলে যোগ দিয়েই বড় প্রাপ্তি। দলের সহ-সভাপতি হলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বৈঠকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল শিবিরের সদস্য হলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবারই লকেট চট্টোপাধ্যায় দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রিতেশ তিওয়ারিও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকেই শেষ পেরেকটা পোঁতা হয়েছিল। সোমবার সকালে আকস্মিক নজরুল মঞ্চের সামনে তৃণমূল নেতাদের পাশেই দেখা যায় জয়প্রকাশকে। আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিই ঘটাল জল্পনার অবসান।
আরও পড়ুন: Weather Update: মেঘলা আকাশের দোসর কুয়াশা, কাল থেকে ভিজবে বাংলা
শুরুটা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। সায়ন্তন বসুকে যখন সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন জয়প্রকাশ। এরপর একাধিকবার তিনি নানাভাবে দলকে বুঝিয়েছেন তাঁর বিরোধিতার কথা। কখনও সোজাসাপটা দলের নীতির বিরুদ্ধে টুইট করে, কখনও রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতের ইস্যুতে রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করে, কখনও আবার দলেরই বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে অংশ নিয়ে।
যার জেরে শোকজের মুখে পড়তে হয় জয়প্রকাশকে। দলের সিদ্ধান্তে অবশেষে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তও করে বিজেপি। যার জেরে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে জয়প্রকাশের। একাধিকবার গোপনে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। যার জেরে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল যে, বিক্ষুব্ধ বিজেপিরা একজোট হচ্ছে। জয়প্রকাশের দলবিরোধী মন্তব্য উসকে দিয়েছিল তাঁর বিজেপির সঙ্গে বরাবরের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করা সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন জয়প্রকাশ।
আরও পড়ুন: WB Budget: বিজেপির নজিরবিহীন বিক্ষোভ, ‘এক বাক্যের’ বক্তব্য রেখেই বিধানসভা ত্যাগ রাজ্যপালের!