মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে এটা মেনে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন, কারও চাকরি যাবে না? তাহলে কেন এখন আদালতের নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করার কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বিকাশ বলেন, আদালতের সঙ্গে ছেলেখেলা করার ফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর শিক্ষামন্ত্রী কেন বলছেন, আদালতের নির্দেশে বেআনিভাবে নিযুক্তদের চাকরি থেকে বাদ দিতেও তৈরি তারা? আর তাঁরা তৈরি কি না তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দুর্নীতির মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছেন তারা আদালতের নির্দেশেই বাদ যাবে। দেশে এখনো আইনের শাসন রয়েছে। এটা ভুলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, এই নিয়োগের জন্য মোট ১৪,৯৭৭টি পদ তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি তাঁর আবেদন, আপনারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিন। পুজো আসছে। সকলে ঘরে ফিরে যান। মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের ব্যাপারে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি চান না কারও চাকরি যাক কিংবা কেউ চাকরি থেকে বঞ্চিত হোক।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি স্বীকার করে নেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু বেনিয়ম হয়েছে। বেআইনিভাবে ২২২ জনের নিয়োগ হয়েছে শিক্ষক হিসেবে। এছাড়া গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের ৯৮৭ জনের বেআইনিভাবে চাকরি হয়েছে। এইসব চাকরি থেকে প্রার্থীদের সরে যেতেই হবে।