JU Student Death: Two more people arrested in Jadavpur University student death case

JU Student Death: স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে গ্রেফতার দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র, ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুতে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। দু’জনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই এই দু’জনের নাম মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

শনিবার রাতভর জেরা করা হয়েছে মনোতোষদের। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) নিজে থানায় উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদের জেরার প্রক্রিয়ায় তিনিও অংশ নেন। তার পর রবিবার সকালে দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দীপশেখর বাঁকুড়ার বাসিন্দা। বয়স ১৯ বছর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মনোতোষ হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা। বয়স ২০ বছর। তিনি সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে থাকেন তিনি। মনোতোষের অতিথি হিসাবেই হস্টেলে থাকছিলেন স্বপ্নদীপ।

রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ আদালতে তোলা হয় দু’জনকেই। মনোতোষের আইনজীবী অমি হক এবং দীপশেখরের আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায় আদালতকে বলেন, এফআইআরে তাঁদের মক্কেলদের নাম নেই। আইনজীবীরা এ কথাও বলেন যে, এঁদের বিরুদ্ধে বড়জোর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হতে পারে, হত্যার মামলা নয়। কিন্তু সরকারি আইনজীবী এর পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বলেন, তদন্তে এই ঘটনায় অনেকেই জড়িত বলে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে। তা ছাড়া এই ধৃত ছাত্র বা প্রাক্তনীরাও সব বলছেন না। তাই ঘটনাটির গভীরে পৌঁছনোর জন্যই এঁদের পূর্ণ মেয়াদের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: Nusrat: নুসরতের বিরুদ্ধে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ! মুখ খুললেন ‘স্বামী’ যশ

যুক্তি হিসাবে সরকারি আইনজীবী দু’টি বয়ান পেশ করেছিলেন আদালতে। প্রথমে হস্টেলের রাঁধুনির কথা বলে তিনি জানান, ওই রাঁধুনি বিশদে বলেছেন, কী ভাবে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপর হস্টেলে অত্যাচার করা হয়। পরে এক ছাত্রের কথাও জানান তিনি। ওই ছাত্রের নাম না করে সরকারি আইনজীবী বলেন, ওই ছাত্রও জানিয়েছেন, যাদবপুরের হস্টেলে ছাত্রদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা। এর পরই তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে এমন অত্যাচার চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরেই। অথচ এখনও এই ঘটনায় গ্রেফতার এক প্রাক্তনী এবং দুই পড়ুয়া এ ব্যাপারে বিশদে কিছুই জানাননি। রবিবার এর পরেই আদালত দু’জনকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দেয়।

যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকেও ২২ অগস্ট পর্যন্তই পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Jadavpur University ragging: ‘পুরষাঙ্গের দৈর্ঘ্য, বাবা-মায়ের যৌনমিলনের দিন’- যাদবপুরের ‘ইন্ট্রো’ আদতে কী?