নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর জুনিয়র ডাক্তারেরা পাল্টা ইমেল পাঠালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। আন্দোলনরত ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি। তবে বৈঠকের জন্য চারটি শর্ত দিয়েছেন তাঁরা।
প্রথম শর্ত— অন্তত ৩০ জনের প্রতিনিধিদল থাকবে বৈঠকে।
দ্বিতীয় শর্ত— নবান্নে যে বৈঠক হবে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তার লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে।
তৃতীয় শর্ত— আন্দোলনকারীরা যে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আগে, সেই দাবিগুলির উপরেই বৈঠকে আলোচনা হতে হবে।
চতুর্থ শর্ত— নবান্নে যে বৈঠক হবে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবে।
আজ ভোর রাতে যে ইমেল তাঁরা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাতে জানিয়েছিলেন, তাঁদের অন্তত তিরিশ জন প্রতিনিধিকে আলোচনায় ডাকতে হবে। এবং যে আলোচনা হবে তা লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। যাতে গোটা বাংলার মানুষ তা জানতে পারেন।
আজ বিকেলে মুখ্যসচিবের চিঠির উত্তর দেওয়ার সময়ে আবারও একই শর্ত মনে করিয়ে দিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে উল্লেখ করলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতেই হবে বৈঠকে।
জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠকের পরই নবান্ন থেকে ফের ইমেল আন্দোলনরত ডাক্তারদের। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ তাঁদের ইমেল পাঠিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনার জন্য তাঁদের ডাকা হয়েছে নবান্নে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, ৩০ জনের প্রতিনিধিদলকে বৈঠকে থাকার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু, মুখ্যসচিবের পাঠানো ইমেলে বলা হয়েছে ১২-১৫ জন যেতে পারেন নবান্নে। মঙ্গলবারের ইমেলে ১০ জনের প্রতিনিধিদলকে ডেকেছিল নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো ইমেলে মোট পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথম দাবি, নির্যাতিতার দ্রুত বিচার। যদিও এটির সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও যোগ নেই, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা ইমেলে। দ্বিতীয় দাবি, প্রমাণ নষ্টে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ থাকার অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে নিলম্বিত করে, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার অপসারণ। তৃতীয় দাবি, বিনীত গোয়েলকে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো। ডিসি নর্থ এবং ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ। চতুর্থ দাবি, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। পঞ্চম দাবি, হাসপাতালের বিভিন্ন কমিটিতে পড়ুয়া, জুনিয়র ডাক্তার ও অন্য ডাক্তারদের গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিনিধিত্ব।