Jyotipriya Mallick sent for medical test before court production

Jyotipriya Mallick: ‘বিজেপি এবং শুভেন্দুই চক্রান্তে জড়িত’, হাসপাতালের পথে বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়

‘বিজেপি এবং শুভেন্দুই চক্রান্তে জড়িত’, গ্রেফতারির পর হাসপাতালে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallick)।প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে মেডিক্যালের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাড়ে আট’টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে উদ্দেশ্যে। মেডিক্যাল টেস্টের পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রীকে জেরার জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।

দিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোনোর সময় বনমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে ফের চক্রান্তের কথা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মন্ত্রী ফের বলেন, তিনি চক্রান্তের শিকার, বিরাট ষড়যন্ত্রের শিকার। যে চক্রান্তের নেপথ্যে বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকা যাওয়ার সময় জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে বিরাট চক্রান্ত হয়েছে। বিজেপি, শুভেন্দু অধিকারী চক্রান্তে জড়িত।”

জেলায় জেলায় যখন কার্নিভালের প্রস্তুতি চলছিল, তখন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি ভাল চোখে দেখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরো বিষয়টাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করার পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো এফআইআর করার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার দুপুরে। গতকাল, দুপুর আড়াইটা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি, বালুর প্রাণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেননি। তাঁর এই বক্তব্যের ১২ ঘণ্টা পর ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাত ৩ টে ২২ মিনিটে তাঁকে গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান ইডি অফিসাররা।

একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে গত এক বছরে। মাঝে মধ্যেই ইডি বা সিবিআই দফতরে ডাক পড়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের। তবে বালুকে নিয়ে মমতার গলায় এত উদ্বেগ কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গতকালের পর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতে পারেন, এমন আশঙ্কা তো ছিলই। সেই সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর আশঙ্কা শুধু জ্যোতিপ্রিয়তেই থেমে থাকবে না কেন্দ্রীয় সংস্থা। সে কারণেই কি তড়িঘড়ি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা?

বিরোধীরা এই ক্ষেত্রে সেই তৃণমূল-বিজেপি আঁতাতের তত্ত্বই সামনে আনছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো জানতেন। উনি তো দিল্লির সব খবর পান। জেনেশুনেই ওই সব বলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, মমতার আশঙ্কা যখন এতটাই বেশি ছিল, তখন সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করলেন না কেন? রাস্তায় ধরনায় বসলেন না কেন?”