Know what is the future of 22 crore rupees Which Recovered from Arpita Mukherjee’s House

ED: অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা কোথায়? কী হবে, কারা পাবে এই টাকা

হাজার বা লক্ষ নয়, একেবারে কোটি কোটি টাকার ডেরার খোঁজ খাস কলকাতায়। মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ কোটি টাকার বেশি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনাও। এদিকে অর্পিতা আবার রাজ্য়ের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছে ইডি। দুজনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু কোথায় যাবে এই কোটি কোটি টাকা? কেই বা পাবেন? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে গোটা রাজ্যের নাগরিক মহলে।

ইডি সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা আপাতত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লকারেই রাখা থাকবে। বাজেয়াপ্ত করা প্রতিটা নোটের নম্বর মিলিয়ে তা রাখা থাকবে হিসাবের খাতায়। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে কোনও ব্যাঙ্কেই নিজের তত্ত্বাবধানে রাখতে পারে। বর্তমানে এই বিশাল অঙ্কের টাকা রাখা রয়েছে এসবিআইয়ের স্ট্রান্ড রোড লকারে।

কারণ, কোটি কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত হলে খাতায়-কলমে টাকা, বিদেশি মুদ্রা, গয়নার মালিক এখনও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ই। ইডি-কে এ বার আদালতে গিয়ে প্রমাণ করতে হবে, অর্পিতা ওই সব বেআইনি পথে আয় করেছেন এবং শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ঘুরে অর্পিতার কাছে এই অর্থ এসেছে। সে ক্ষেত্রে নগদ টাকা পাকাপাকি বাজেয়াপ্ত করে তা কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে জমা হবে।

আরও পড়ুন: 21st July: জনস্রোতে ভাসল কলকাতা, শহরে মানেকা–বরুণ গান্ধী, তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যাবে কি?

আর যদি ইডি তা প্রমাণ করতে না পারে? তা হলে সুদ সমেত ওই অর্থ ফেরত দিতে হবে। দু’বছর আগে একটি মামলায় আদালতের নির্দেশে ১৯৯৫ সালে আটক করা নগদ অর্থ ফেরত দিতে হয়েছে তাদের। আটক করা হয়েছিল ৭.৯৫ লক্ষ টাকা। ২৫ বছর পরে সুদ-সহ ২০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হয়।

অর্পিতার ক্ষেত্রে অবশ্য উল্টো গল্প। কারণ, তিনি ইডি-র অফিসারদের কাছে দাবি করেছেন, ওই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং গয়না তাঁর নয়। তাঁর ফ্ল্যাটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। সেই সুবাদেই কৌশলে তাঁর ফ্ল্যাটে পার্থবাবু নগদ টাকা, গয়না রেখেছিলেন বলে অর্পিতার দাবি।

ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘অভিযুক্তের হেফাজত থেকে যে সব জিনিস উদ্ধার হয়, আইনত প্রাথমিক ভাবে সেগুলি অভিযুক্তর সম্পত্তি বলেই বিবেচ্য হয়। কিন্তু অভিযুক্ত যদি আদালতে নথি পেশ করে মালিকানা প্রমাণ করতে না পারেন, তা হলে দাবিদারহীন হিসেবে নগদ টাকা ও গয়না প্রাথমিকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে। পরে মামলার নিষ্পত্তি হলে তা সরকারের সম্পত্তি বলে বিবেচিত হবে।’’

আরও পড়ুন: ভুবনেশ্বরে পার্থ, বুকে হাত রেখে বোঝালেন শরীর ভাল নেই