আরজি কর কাণ্ডে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালন হয় বুধবার রাতে। শহরের নানা জায়গায় প্রতিবাদে সামিল হন সাধারণ মানুষ। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয় বিভিন্ন জায়গায়। এর মাঝেই শ্যামবাজারের একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পোড়ানো হল তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা।
৪ সেপ্টেম্বর ফের রাত দখলের সাক্ষী থেকেছে কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার। তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদ রাত জেগেছে সহ নাগরিকরা। সুবিচারের দাবির মাঝেই কেউ কেউ নিজ নিজ স্বার্থ পূরণের চেষ্টা করছেন বলে বার বার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এবার খাস কলকাতায় দলীয় পতাকা পোড়ানোর ভিডিও পোস্ট করে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্যামবাজারে তৃণমূলের পতাকায় পোড়ানো হচ্ছে। কয়েকজন যুবক এই কাজ করছেন। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে কখনও দলের পতাকা পোড়ানো হয় না। আমরাও কখনও পোড়াইনি, এসব সমর্থন করি না। অথচ কাল রাতে শ্যামবাজারে কিছু ছেলে এটা করল।’ এর পরই তাঁর তোপ, ‘নাগরিকদের আবেগ, প্রতিবাদের সুযোগে অন্য উদ্দেশ্যসাধন চলছে। নাগরিক প্রতিবাদকে সমর্থন। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদটাও হোক।’
সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে কখনও দলের পতাকা পোড়ানো হয় না। আমরাও কখনও পোড়াইনি, এসব সমর্থন করি না।
অথচ কাল রাতে শ্যামবাজারে কিছু ছেলে এটা করল।
নাগরিকদের আবেগ, প্রতিবাদের সুযোগে অন্য উদ্দেশ্যসাধন চলছে।
নাগরিক প্রতিবাদকে সমর্থন।
@AITCofficial র পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদটাও হোক। pic.twitter.com/ngDD5xtRjD— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 5, 2024
দলীয় পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বিজেপির তরফেও। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানান, বেশ কিছু জায়গায় তাঁদের পতাকা পোড়ানো হয়েছে বলেও খবর এসেছে। সজল বলেন, ‘আমি এই পতাকা পোড়ানো কোনওভাবেই সমর্থন করি না। আন্দোলনকে বিপথে চালিত করছে কিছু লোকজন। জনসাধারণের আন্দোলনের মাঝে ঢুকে গিয়ে কিছু দুর্বিনীত এই কাজ করছে। এই কাজ কোনও অতি-বাম লোকজন করছে কিনা, সেটা খোঁজ নেওয়া দরকার। তাদের খুঁজে বের করে চামড়া গুটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।’