তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে সেখানে অবশ্য বেশিদিন সক্রিয় দেখা যায়নি তাঁকে। তারপর আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটায় দেখা যায়। আর এবার পাখি ফিরছে আপন কুলায় ? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ( Sovan Chatterjee)ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Baisakhi Banerjee) গোল পার্কের ফ্ল্যাটে যান তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) । সেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তিনি। চলে চা চক্র। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন তিনি। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ কুণাল ও শভন-বৈশাখীর এই সাক্ষাতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।
শোভন-বৈশাখী-কুণালের মধ্যে কি রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে? নাকি লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে শোভন চট্টপাধ্যায়কে ফেরানোর উদ্দেশে দেখা করতে যাওয়া? এসব প্রশ্ন, জল্পনার মাঝে কুণাল ঘোষের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ।
কেন হঠাৎ শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কুণাল ঘোষ? এই নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই বলেই স্পষ্ট করলেন। শোভন এবং বৈশাখীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দল নিলে আমার কি বলার থাকতে পারে!’ তবে দলের প্রতি গত কয়েক বছরে কোনও দায়িত্বই পালন করেননি শোভন, আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন রত্না।
তৃণমূলের থাকাকালীন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল কুণাল ঘোষের। পরে তাঁদের সকলের রাজনৈতিক জীবন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। শাসকদলের সঙ্গে শোভনের দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এতটাই চরমে পৌঁছে গিয়েছিল যে দলের প্রতিটি পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
আবার ভাইফোঁটার দিন মমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। শোভনের পাশাপাশি দিদির থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন বৈশাখীও। মমতা ব্যক্তিগত ভাবে শোভনকে অপছন্দ করেন না। তা ছাড়া, শোভন এখন বিজেপিতেও নেই। ফলে তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতে কোনও ‘রাজনৈতিক সমস্যা’ নেই।
Kunal Ghosh Meets Sovan Chatterjee And Baisakhi Banerjee
https://www.thenewsnest.com/kolkata-kunal-ghosh-meets-sovan-chatterjee-and-baisakhi-banerjee/