দুর্গাপুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল দেওয়াই রেওয়াজ। কথিত আছে, রাবণ বধের আগে মা দূর্গার পুজো করতে রামচন্দ্র এ ভাবেই পদ্ম দিয়ে পুজো দিয়ে দেবীকে তুষ্ট করেছিলেন। আর সেই ধারা বজায় রয়েছে এখনও। এই কারণেই দুর্গাপুজোর সময় পদ্মের চাহিদা আকাশ ছুয়ে ফেলে।
দুর্গাপুজোয় গোলাপী রঙা পদ্মের জোগানে হিমশিম অবস্থা। সময়ের সঙ্গে চাহিদা বাড়লেও নেই তেমন জোগান। তাই তো সপ্তমীতে রাজ্যে এক-একটি পদ্মের দাম উঠল ৫০ টাকা। বাংলা হোক কিংবা ওড়িশা বা বেঙ্গালুরুর পদ্ম, ৫০ টাকার নিচে নামেনি এবারের সপ্তমীর দুর্গাপুজার পদ্মের দাম।
আরও পড়ুন: Durga Puja: হিন্দু মহাসভার পুজোর থিম ‘নো NRC,CAA’
কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজারে এই রাজ্যের এক-একটি পদ্ম ৩০ টাকাতে বিক্রি হয় বটে। তবে সেখান থেকে কলকাতার বিভিন্ন ছোট-ছোট ফুলবাজার, শহরতলি সহ জেলাগুলির বাজারে ওই পদ্মই বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। সেই বাজারগুলি থেকে ছোট ফুল ব্যবসায়ীরা পদ্ম নিয়ে এসে বিক্রি করার সাহস দেখাতে পারছেন না। কারণ পুজো আয়োজকরা ছাড়া এমন চড়া দামের পদ্ম নিত্যপুজোর জন্য গৃহস্থরা খুব একটা কিনছেন না । ফলে সবমিলিয়ে পুজোয় বাংলা জুড়ে এবার চাহিদা অনুযায়ী পদ্মের জোগান তলানিতে। ফলে বেড়েছে দাম। শুধু পদ্ম নয়, এবার নীল অপরাজিতা-সহ অন্যান্য ফুলের দামও বেশ চড়া।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro: কোন স্টেশনের কাছে কোন পুজো মণ্ডপ, উত্তর থেকে দক্ষিণ – রইল তালিকা
পদ্মফুল চাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এখানকার পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুকের বিস্তীর্ণ এলাকার পদ্মফুল রাজ্যের বাজারে ঘাটতি মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বছরের পর বছর।পাঁশকুড়ার পদ্ম চাষি ব্রজবিহারী দাস বলছেন, ‘‘এ বার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা পদ্মচাষে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। এক দিকে সময়ে বৃষ্টি না হওয়ার জেরে ফলন কম হয়েছে, আবার অতিবৃষ্টির জেরে শেষ মুহুর্তে ব্যাপক পরিমানে ফুল নষ্টও হয়েছে। এর ফলে পদ্মের বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগানে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে।’’ যার সাক্ষাৎ প্রমান দেখল সপ্তমীর দুর্গাপুজো।