শনিবার দুপুরে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে আচমকা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না মঞ্চ থেকে বলেন, ‘আপনাদের কাছে আসা মানে নিজেকে ছোট করা নয়। আমি শেষ চেষ্টা করে গেলাম।’
তিনি বলেন, ‘‘আমার নিরাপত্তাজনিত নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি নিজে ছুটে এসেছি। আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। আমি আপনাদের ব্যথা বুঝি। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি।’’
এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসদের কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এ বার তিনি নিজেই হাজির হলেন ধর্না মঞ্চে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘আমি নিজেও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। আমার পোস্টটা বড় কথা নয়। আমি বলতে এসেছি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আপনারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের দাবিগুলি নিয়ে ভাবব। তবে আমি একা সরকার চালাই না। আমাকে একটু সময় দিন। যদি কাউকে দোষী পাই, ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, ‘আপনাদের প্রতি কোনও অবিচার করব না। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছি। সমস্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি আমি ভেঙে দিলাম। হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হবে। সেখানে সদস্য হবে সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি এবং পুলিশ থাকবে।’
জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্য অপরিহার্য বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিরুদ্ধে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।