মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বেরোনর সময় সদ্য পদত্যাগী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়ে অভিজিৎবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য বাংলা থেকে তৃণমূলের সরকারের বিদায় সূচনা নিশ্চিত করা।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ডোরিনা ক্রসিংয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে যার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, , “বিচারের চেয়ারে বসে বিজেপি বাবু, বিজেপি পার্টিতে যোগদান করার কথা ঘোষণা করছেন? এদের কাছে বিচার পাবেন? বিজেপি যা বলেছে, উনি তাই করেছেন। কী সব রায় দিয়েছে! আমরা বুঝতে পারতাম, রোজ অভিষেকের নাম করে করে গালি দিত। তবে আমি খুশি যে মুখোশটা খুলে গিয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর ‘আক্ষেপ’, “বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে, এদের থেকে বিচার পাবেন না।”
রাজনীতিতে যোগ দিয়েই ভোটে দাঁড়াচ্ছেন অভিজিৎ। তবে তাঁর নির্বাচনী লড়াইটা যে সহজ হবে না, তা এদিন বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন, “তৈরি থাকুন। যেখানে দাঁড়াবেন ছাত্রদের নিয়ে যাব। ওদের চাকরি আপনি খেয়েছেন। ওরাই লড়াই করবে। কাল থেকে জনগণ আপনার রায় দেবেন।”
অভিজিৎ বিজেপিতে যোগ দেবেন, এই ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের তরফে বিচারপতির আসনে বসে পদ্মশিবিরের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁর দেওয়া বিভিন্ন রায়ের আড়ালে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ ছিল কি না, সে প্রশ্নও তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। এমনই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোনও বক্তব্যেই অভিজিতের নাম করেননি মমতা। কিন্তু অভিজিৎকে আক্রমণ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করা যায় না। কিন্তু রায়ের সমালোচনা করাই যায়।’’ সেই সঙ্গেই অভিজিতের বিরুদ্ধে অনেকের চাকরি খাওয়া এবং অনেকের চাকরি আটকে রাখার অভিযোগও তুলেছেন মমতা।