‘কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি খুঁজে নিন, আরও বেশি ডিএ (DA) পাবেন’, ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। সঙ্গে আরও সংযোজন, ‘ডিএ বাধ্যতামূলক (Mandatory) নয়। এটা ঐচ্ছিক, টাকা থাকলে ভালবেসে দিলাম।’
এদিন ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা ছিল, ‘অফিস টাইমে কাজ বন্ধ করে মিছিল, এটা সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না? রোজ শুধু না করার হুঙ্কার, আমি সহানুভূতিশীল।’ তাঁর মতে, ‘সব জায়গায় কোঅর্ডিনেশন কমিটির লোকেরা বসে রয়েছেন।’ তবে তিনি যে এর পরও কাউকে বরখাস্ত করেননি সে কথা মনে করিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ আমি কিন্তু দুর্বল নই’। বস্তুত, এদিন ডিএ আন্দোলনকেই চাকরি চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর কথায়, ‘মামলার জেরে বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ডিএ নিয়ে যারা মিটিং-মিছিল করছেন, তাঁদের জন্যেই চাকরি চলে গেল।’ তবে যে ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন,’১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি পড়ে আছে দিল্লিতে। আগে এনে দিক। আরও ৩ শতাংশ ডিএ দেব।’ মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ‘অনেকে ডিপ্রেশনে ভুগছেন, কেউ কিছু করে ফেললে কী হবে? যা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। বলছে টাকা দিলে খেয়ে নেবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির শর্ত একরকম, রাজ্যে অন্যরকম। কারও যদি মনে হয় এখানে কম বেতন পাচ্ছেন, তা হলে যান না কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি খুঁজে নিন।
বাম আমলের সঙ্গে বিগত ১২ বছরের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আগে তো এক তারিখে টিচাররা মাইনেও পেতেন না। তিন মাস-চার মাস পর পর বেতন পেতেন। পুরোটাই অনিশ্চিত ছিল। আজ এক তারিখে সকলের কাছে টাকা পৌঁছে যায়। যত প্রকল্প আছে, পেনশন – মানুষ সময়মতো পেয়ে যান। কোথায় ছিল এসব?’
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন যে, রাজনৈতিক কারণে বামেরা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করলেন। তাঁদের প্রশয়েই এই ডিএ আন্দোলন।