লোকসভা ভোটের মধ্যে শুক্রবার দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওযালের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। কেজরিওয়ালের জামিনে মুক্তির এই খবরে নিজের খুশি প্রকাশ করে টুইট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে টুইটে মমতা লিখেছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। এটা দেখে আমি খুব খুশি। বর্তমান নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এটা খুবই জরুরি ছিল।”
I am very happy to see that Shri Arvind Kejriwal @ArvindKejriwal has got interim bail. It will be very helpful in the context of the current elections.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 10, 2024
আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্তে গত ২১ মার্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) গ্রেপ্তার করে ইডি(ED)। সপ্তাহ দুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। গোটা আপ নেতৃত্বের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচার থেকে কেজরিকে আটকাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। সেই সওয়ালের শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে বিচারপতিরা জানান, “নির্বাচন না চললে হয়তো কেজরিকে জামিন দেওয়ার কথা আমরা ভাবতাম না।” জেলমুক্তির পর শনিবার থেকেই কেজরিওয়াল লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে নামতে পারেন।
আগামী ১ জুন, শেষ দফার ভোটের দিন পর্যন্ত জেলের বাইরে থাকবেন কেজরি। ২ জুন, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁকে। আপ প্রধানের জামিনের বিরোধিতা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘২১ দিনে খুব বেশি কিছু ফারাক হবে না।’’ তবে অন্তর্বর্তী জামিনের কিছু শর্তও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কেজরিকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা সচিবালয়ে যেতে পারবেন না তিনি। আদালতে তাঁর তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, তা মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার অনুমতি ছাড়া তিনি কোনও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না। দিল্লির আবগারি দু্র্নীতি মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না আপ প্রধান। এই মামলাতেই গ্রেফতার হন কেজরি। এই মামলার কোনও সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না তিনি। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত কোনও সরকারি ফাইলও দেখতে পারবেন না।