শহরে পার্কিং-এর খরচ বেড়েছে সম্প্রতি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অজ্ঞাতসারেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পার্কিং ফি! এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই খরচ বাড়ার বিষয়টি জানতে পেরেই মমতা তৎপর হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন কুণাল। আর সে কথা নাকি মুখ্যমন্ত্রী জানতে পেরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কাছ থেকে। এই খরচ বৃদ্ধি মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারের নীতির বিরোধী বলেও মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।
গত ১ এপ্রিল থেকে কলকাতা পুর এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং ফি বাড়িয়েছে কলকাতা পুরসভা। চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে যেখানে প্রতি ঘণ্টায় দিতে হত ১০ টাকা, ১ এপ্রিল থেকে সেটা বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। এভাবেই অন্যান্য গাড়ির ক্ষেত্রেও ফি বৃদ্ধি হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই ফি বৃদ্ধির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। সেটি ফিরহাদ নিজেও ঘনিষ্ঠদের বলেছেন। মেয়রের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, পুরসভা এলাকার ফি বাড়ানোর মতো ছোটখাটো বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে বিব্রত করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়! সুজন, দিলীপ, শুভেন্দুর নাম বললেন জেলবন্দি পার্থ
তা ছাড়া ফিরহাদ কলকাতার মেয়র হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রীও বটে। ফলে তিনি পুরসভা সংক্রান্ত এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ফিরহাদের ঘনিষ্ঠদের আরও বক্তব্য, কলকাতা শহরের পুর এলাকায় এমনিতেই পার্কিং ফি যতটা হওয়া উচিত, ততটা নয়। দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরে ওই পরিমাণ অনেক বেশি। তা ছাড়া এই শহরের বিভিন্ন শপিং মলেও পার্কিং ফি ঘণ্টাপ্রতি এর চেয়ে বেশি।
তবে ওই সিদ্ধান্ত ঘিরে দলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন মেয়র ফিরহাদ। শুক্রবার কুণাল জানান, পুরসভার সিদ্ধান্তে খুশি নন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এর পরেই মমতা মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন, জনতার উপর খরচের বোঝা চাপানো চলবে না। দল ও সরকারের এটাই নীতি। তাই পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
কুণালের ওই বক্তব্য জানার পর ফিরহাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিলে অবশ্যই ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেব। কিন্তু এই কথাটা আমাকে দলের ভিতরেও বলা যেত। মুখ্যমন্ত্রীও বলতে পারতেন। তা না-করে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলা হল! তবে আমি দলের অনুগত সৈনিক। দলের নির্দেশ সব সময়ই মেনে চলব।’’
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: যুগান্তকারী পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের,ঘরে বসেও দেখা যাবে শুনানি