Mamata banerjee is only have to right to take ultimate decission in tmc says firhad hakim

তৃণমূলে মমতাই শেষ কথা, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ দাবি উড়িয়ে দিলেন ফিরহাদ

তৃণমূলের অন্দরে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে এক ব্যক্তি এক পদের দাবি। শুক্রবার এ প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বললেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নেবে দলের সবাই তাই মানবে।”

সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের অন্যতম রীতি ছিল এক ব্যক্তি, এক পদ। আর এই নীতি ঘিরেই শুরু হয় জল্পনা-বিতর্ক-চাপানউতোর। বিশেষ করে কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই রীতি মানা হয়নি বলেও দেখা যায়। তার পর থেকেই যে জল্পনা বাড়ছিল, তাই উস্কে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইবোনেরা। এবং সংগঠনে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দেবাংশু ভট্টাচার্য, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহাদের পোস্ট।

অভিষেকের তুতো ভাইবোন যেমন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অদিতি গায়েন, সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিশা বন্দ্যোপাধ্যায়রা সোশাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি, এক পদ নিয়ে পোস্ট করতে শুরু করেন। আর এর পরই শুরু হয় জল্পনা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের রীতি-নীতি স্পষ্ট করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি এদিন বলেন, ”সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা এক ব্যক্তি এক পদ দাবি সমর্থন করে না দল। সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন নীতি নির্ধারণ করবেন।” একইসঙ্গে দলের কর্মী, অনুগামীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ”নিয়ম মেনে চলুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করবেন না।’

আরও পড়ুন: #OnePersonOnePost: মমতার ডাকে শনিবার কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক, শীর্ষ নেতাদের থাকতে নির্দেশ

বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অনেকের এই ধরনের পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, ”দলের স্বার্থে এই ধরনের পোস্ট নয়। দল এটাকে অনুমোদন দিচ্ছে না। সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”

তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা, এদিন আরও একবার তা স্পষ্ট করেছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ”দলের সবটাই সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমরা ছেড়ে দিয়েছি। পার্টি চালানোর জন্য যেটা দরকার তখন সেটাই করবেন উনি। চাইলে উনি নীতি বদলও করতে পারেন। আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রয়েছে। এই দল অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ। এটা কোনও ভুল বোঝাবুঝি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রেখেই দল চলে।”

আরও পড়ুন: Kolkata Police : কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে লুকিয়ে বিপদ! খোয়াতে পারেন সর্বস্ব!