প্রতি বছরই বাড়িতে কালীপুজো করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ এই দিনে তাঁকে দেখা যায় একেবারেই অন্য মেজাজে। শুভ শক্তির হাতে অশুভ শক্তির পরাজয়৷ মঙ্গলারতি দিয়ে শ্যামার আরাধনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মন্দিরে। আলোর উৎসবে ভাসছে কলকাতা থেকে জেলা। বাড়ির কালীপুজো নিয়েও দারুণ ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কদিন আগে পায়ের কারণে ভুগলেও কালীপুজোর উপবাসে কোনও বিরতি দেননি মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবছরের মতো এবছরও দিনভর উপোস করে পুজোর আয়োজন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনকী প্রতিবারের মতো এবারও নিজে হাতে রাঁধলেন দেবীর ভোগ। প্রতিবারের মতো এবারও বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির কালীপুজোর ভোগে রয়েছে খিচুড়ি, লাবড়া। এছাড়া আলু-বেগুনের মতো পাঁচ রকমের ভাজা থাকবে। আর থাকবে চাটনি ও পায়েসও। অতিথি আপ্যায়ন থেকে পুজোর আয়োজন সব একা হাতেই সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবছর দেখা গেল পায়ে ব্যথার কারণে একটু উঁচু জায়গায় বসে পুজোর তদারকি করতে। পুরোহিত মশাইয়ের হাতে হাতে পুজোর কাজ এগিয়ে দিতে দেখা যায় অভিষেক কন্যা আজানিয়াকেও।
ইতিমধ্যেই কালীপুজো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রী থেকে কর্মীরাও। আবার এলাকার মানুষজনও সেখানে এসেছেন তাঁদের ‘দিদি’কে দেখতে। সাধারণ মানুষের জন্য আজ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসভবনের দরজা থাকে খোলা থাকে। প্রত্যেককে দেওয়া হয় মায়ের ভোগ। যত রাত বাড়বে তত অতিথিদের আনাগোনা বাড়বে।
তুমুল বৈরিতা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালী পুজোর নিমন্ত্রণ রক্ষায় সস্ত্রীক আসতেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এছাড়া কালীপুজো উপলক্ষে সন্ধে থেকে রাতভর সেলেব তারকা থেকে খেলোয়াড়দের ভিড় লেগে থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। কালীপুজো উপলক্ষে ৩০ বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে বসে তারকার হাট। এবার অমাবস্যা তিথি তাড়াতাড়ি পড়ায় সন্ধের পরই শুরু হয়ে যায় পুজো। প্রতিবছর আরতির প্রদীপ নিয়ে পুজো দেখতে আসা মানুষদের কাছে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। আরতির সময় বসে বসে কাঁসর বাজাতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।