মোদী বিরোধী মহাজোটের ভিত মজবুত করার অঙ্কে এতদিন অখিলেশ যাদব, নীতীশ কুমার, স্ট্যালিনদের নাম শোনা গেলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল ছিলেন অন্তরালে। কর্ণাটকের ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর এবার রাজনীতির সমীকরণ বদলাচ্ছে।
আজ, মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো। রাজনৈতিক মহলের মতে এই মুহূর্তে মোদি বিরোধী রাজনীতির প্রধান দুই শক্তির বৈঠক হবে নবান্নে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এপ্রিলের শেষের দিকে কলকাতায় এসেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সঙ্গে তেজস্বী যাদবও। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। বৈঠক শেষে মমতা বলেন, ‘আমি নীতীশজিকে বলেছি, যদি আমরা এক হয়ে লড়তে পারি তাহলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব। মিডিয়ার সাহায্যে ন্যারোটিভ বানিয়ে বানিয়ে বিজেপি অনেক বড় হিরো হয়ে গিয়েছে। আমরা তো চাই বিজেপিকে জিরো বানাতে’। বস্তুত, বিরোধী জোটে শামিল হতে তাঁর যে কোনও আপত্তি নেই, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কেজরিওয়ালের এই সক্রিয়তার পিছনে অবশ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা অর্ডিন্যান্স। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এড়িয়ে দিল্লি প্রশাসন হাতে রাখতে মরিয়া কেন্দ্র। তাই রাতারাতি এসেছে এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স। এই সংক্রান্ত বিল রাজ্যসভায় যাতে কোনওভাবেই পাশ না হয়, তার জন্য প্রত্যেক বিরোধী দলের সমর্থন চাইছেন তিনি। সেই লক্ষ্যেও এদিনের সফর যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রবিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার। কর্ণাটকে সিদ্ধারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি কেজরিওয়াল। তারপরই জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোটকে নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।