সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবারও প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল।অথচ বয়সের গণ্ডি সত্তর পেরিয়েছে। তাঁর সমর্থনে বৃহস্পতিবার প্রচার করেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ঢালাও প্রশংসা করেন। তাতেই বলেন “এটাই হয়তো তাঁর ( পড়ুন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) শেষ নির্বাচন।” মমতা যখন এ কথা বলেন তখন মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রচারক তথা দলে ‘সুদীপ-বিরোধী’ হিসেবে নিজেকে বারংবার তুলে ধরা কুণাল ঘোষ।
নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে সুদীপের গলায় কাঁথা স্টিচের কাজ করা উত্তরীয় দেখা যায়। সেই উত্তরীয় দেখে মুগ্ধ মমতা। এদিন বেশ খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দলনেত্রী। বলেন, “আমি লোকসভা থেকে চলে আসার পর সুদীপদাই সংসদীয় দলের নেতা। উনি সব সাংসদকে নিয়ে খুব ভালো করে কাজ করেন। দলের প্রতি তাঁর আনুগত্যও রয়েছে। কেউ কেউ সুদীপদার সঙ্গে তুলনা করেন। আমি বলি, ওঁর তুলনা উনি নিজেই।”
মমতা আরও বলেন, “আগামী দিন সুদীপদা আর দাঁড়াবেন কি না জানি না। কিন্তু এবারের জন্য তাঁকে ভোটটা দেবেন। তিনি জীবনের প্রথম থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তর কলকাতার মাটির জন্য কাজ করেছেন।” সুদীপের ৭১ বছর বয়স।৭৭ বছরের সৌগত এ বারও দমদম লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী। তাহলে কেন মমতা বললেন এর পর সুদীপ আর দাঁড়াবেন না। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত কুনাল জিতেই গেলেন ? বলবে ভবিষৎ। রাজনীতিতে শেষ কথা নেই।রাজনীতি সম্ভবনার শিল্প।