সোমবার বিকেলে পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, এবার ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও মিলবে ছাড়। কলকাতা এবং স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে, পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে যেন ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এদিন শহরের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জেলার পুজো কমিটির সদস্যরা। বৈঠকের শুরুতেই বিরোধী বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ‘‘অনেকে বড় বড় কথা বলেন। কলকাতায় দু্র্গা পুজো হয় না। সরস্বতী পুজো হয় না। আমি বলছি, এমন পুজো কোথাও হয় না। এখানে এক বছর ধরে পরিকল্পনা হয়। কে স্বেচ্ছাসেবী হবেন, কে ফল কাটবেন, সব পরিকল্পনা করে রাখা হয়। এখন থিমের পুজো। কোন ক্লাব কাকে দিয়ে পুজো করাবে, সে সব নিয়েও এক বছর ধরে পরিকল্পনা চলে।’’
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে যোগ দিলেই মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব’! বোমা ফাটালেন সিসোদিয়া
গত বছর বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এবার সেটা বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কাছে এদিন সমন্বয় বৈঠকের মঞ্চ থেকেই অনুরোধ জানান মমতা। রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তা গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন বৈঠকে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও বক্তৃতার মধ্যে পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার কিন্তু আপনাদের টাকা দিতে হবে! কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ ছাঁটাই করতে হচ্ছে।
তবে এ হেন আর্থিক অবস্থার মধ্যেও পুজোর জন্য কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভাঁড়ার শূন্য। তবে আমি আশা করি মা দুর্গা ভাঁড়ার পূর্ণ করে দেবেন।” মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যে রেজিস্টার্ড পুজোর সংখ্যা ৪০ হাজার ৯২টি। এই সবকটি পুজো কমিটিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এই জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হবে ২৪০ কোটি ৫৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: পিছোল ফুটবল নির্বাচন, কেন্দ্রের কথা শুনে প্রশাসক কমিটির ক্ষমতা কাড়ল সুপ্রিম কোর্ট