আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। দফায়-দফায় আন্দোলনে নেমেছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। প্রাক স্বাধীনতার রাতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের মহিলারা। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের তুলনা টানলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তাঁর খোঁচা, “বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। ভেবেছেন সেই ঘটনা টেনে এনে যদি ক্ষমতা দখল করতে পারেন। শুনে রাখুন, আমার ক্ষমতার মায়া নেই।”
বুধবার বেহালায় প্রাক্-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখান থেকেই আরজি করের ঘটনা এবং তার প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বলেছেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘আরজি করের ঘটনা নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি রাজনীতি করছে। বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের ঘটনা টেনে এনে এখানেও ক্ষমতা দখল করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। যত দিন বাঁচব, মানুষকে ন্যায়বিচার এনে দেব। এই ঘটনা জানার পরেও আমি পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা হাই কোর্টে গেলেন।’’ উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনা নিয়ে হাই কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বুধবার বেহালায় প্রাক্-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখান থেকেই আরজি করের ঘটনা এবং তার প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বলেছেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘আরজি করের ঘটনা নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি রাজনীতি করছে। বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের ঘটনা টেনে এনে এখানেও ক্ষমতা দখল করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। যত দিন বাঁচব, মানুষকে ন্যায়বিচার এনে দেব। এই ঘটনা জানার পরেও আমি পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা হাই কোর্টে গেলেন।’’ উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনা নিয়ে হাই কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এর পরই বাম জমানার ‘কুকীর্তি’ নিয়ে তোপ দাগেন মমতা। তুলে আনেন অনিতা দেওয়ান গণধর্ষণ, বর্ণালি দত্ত ধর্ষণ, আনন্দমার্গী হত্যাকাণ্ডের কথা। মুখ্যমন্ত্রী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের ফাঁসির ঘটনার উল্লেখও করেন। সেই প্রসঙ্গে টেনে মমতা বলেন, ” প্রমাণ ছাড়া নির্দোষকে কীভাবে গ্রেপ্তার করব? ধনঞ্জয়ের ঘটনা মনে আছে তো? ধনঞ্জয়ের ঘটনায় যা হয়েছিল, তা যেন আর না হয়। মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন বিলাপ করেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাঁকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।”
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন চলছে, তা বিশেষ রাজনৈতিক দল পরিকল্পিত ভাবে করাচ্ছে, মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী নন। রাজনৈতিক দল এটা পরিকল্পিত ভাবে করছে। ভাবছে মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। ওরা জানে না, মমতার সরতে আসলে এক সেকেন্ড লাগে। ঠিক যে ভাবে আমি রেল থেকে সরে এসেছিলাম। অন্যায়ের কাছে আমি মাথা নত করি না, করব না। দরকার হলে মানুষের কাছে মাথা নত করব, কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নয়।’’