২২ তারিখ অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন। সেদিনই সব ধর্মের মানুষের প্রতি সংহতি জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি মিছিলের আহ্বান করেছেন। বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে ওই সংহতি মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। একই সঙ্গে ওই দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানানো হয়েছে।
লোকসভা ভোটের মুখে রাম মন্দির উদ্বোধন বিজেপির পালে কতটা হাওয়া দেবে, তা নিয়ে চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে তৃণমূলের অবস্থান বেশ কিছুদিন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, ভগবান রামের প্রতি সকলেরই ভক্তি-শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু ভগবান রামকে ‘নির্বাচনের এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহারে আপত্তি তৃণমূলের। এরপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, সেদিন কলকাতার রাস্তায় সম্প্রীতি মিছিল করবে তৃণমূল এবং সেই মিছিলে হাঁটবেন দলনেত্রী স্বয়ং।
যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, সেদিন সকালে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন মমতা। আর তারপর সব ধর্মের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত এই মিছিল হবে বলে জানালেন তিনি। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখবেন মমতা।কিন্তু তার বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, ২২ তারিখ ওই মিছিল হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।
এদিকে আবার ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনে সংহতি যাত্রার নামে হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি হতে পারে, অশান্তি-হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। বিষয়টি স্পর্শকাতর উল্লেখ করে রাজ্যপালের কাছে ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।