Mamata Banerjee wants Varanasi-style Ganga Aarti in Kolkata

Mamata Banerjee: বারাণসীর মতো কলকাতাতেও হোক গঙ্গারতি, পুরসভাকে জায়গা খোঁজার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতি সন্ধেয় আরতি দেখার টানে গঙ্গার পাড়ে ভিড় জমাবে সাধারণ মানুষ। এমনটাই চান মুখ্যমন্ত্রী। এ শহরে গঙ্গা আরতি চালু করতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। নবান্নে সোমবারের পর্যালোচনা বৈঠক থেকে কলকাতা পুরসভাকে এবিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন তিনি। কোথায় কোথায় গঙ্গারতি চালু করা যায়, তার জন্য জায়গা খোঁজার ভার দেওয়া হয়েছে পুরসভাকে।

যোগী রাজ্যের তুলনায় এই শহরেও গঙ্গা আরতির দৃশ্য যাতে কোনও অংশে কম না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী। তাই শহরে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থাপনা ঠিক কী রকম হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি চাই, গঙ্গা আরতির একটা জায়গা এখানে হোক। উত্তর প্রদেশে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গা আরতি হয়। আমিও চাই, এখানেও এটা হোক। এমন একটা জায়গায় গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে বসার জায়গা আছে। আরতি দেখতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে লোক পড়ে যাবে না, কোনও মন্দির আছে, লোকে যেখানে শান্তির পীঠস্থান মনে করে, সেরকম একটা জায়গা দেখে গঙ্গা আরতি করার নির্দেশ দিচ্ছি কলকাতা পুরসভাকে।” এই ব্যবস্থাপনা করার জন্য দু-বছরের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এবছর মার্চে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বিধানসভার নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে বারাণসী গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দু দিনের কর্মসূচিতে প্রথম দিন ছিল বারাণসীর ঘাটে সান্ধ্য আরতি দর্শন। প্রতিদিন সূর্যাস্তের মুহূর্তে ৪৫ মিনিট ধরে চলে আরতি। শুধু বারাণসী নয়, মথুরা, হরিদ্বার, এলাহাবাদেরও দীর্ঘদিন ধরে সন্ধ্যা আরতির আয়োজন হয়ে আসছে। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অযোধ্যায় শতদ্রু নদীর তীরে দীপাবলিতে আরতির আয়োজন করে আসছেন। এবছর সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পাশাপাশি প্রিন্সেপ ঘাটের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো ধমকের সুরে তিনি বলেন, “প্রিন্সেপ ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। ওখানে পৌষমেলা হয়। কলকাতার লোকেদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাই এটা করেছিলাম। কেন সেটা মেরামত হচ্ছে না? কখনও অফিসার, কখনও মন্ত্রী, কখনও সরকার বদল হয়। কিন্তু নীতি তো বদল হয় না। কেন এটা নিয়মিত মনিটরিং হবে না?” প্রিন্সেপ ঘাটের পাশাপাশি হাওড়া থেকে নবান্ন যাওয়ার রাস্তার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।