কলকাতার দুর্গাপুজোকে বিরাট সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো। হেরিটেজ স্বীকৃতি উদযাপনে পুজোর একমাস আগে, অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর শহরে বিরাট মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে দিকে দিকে। এবার করোনার প্রভাব কম, তাই গত দুবছরের জমে থাকা আনন্দোৎসব এবার সুদে আসলে উপভোগ করতে প্রস্তুত বাঙালি। পুজো প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে সোমবার রাজ্যের সব পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার রাজ্যের সব পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারের বৈঠকে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। এত দিন মুখ্যমন্ত্রী কেবল মাত্র কলকাতার পুজো কমিটিগুলির মধ্যে বৈঠক সীমাবদ্ধ রাখতেন। কিন্তু এ বারের বৈঠকে ভার্চুয়াল উপস্থিতি থাকবে জেলার পুজো কমিটিগুলিরও। বৈঠকে পুজো কমিটির কর্তাদের পাশাপাশি থাকবেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। জেলার বৈঠকগুলিতে শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে থাকবেন জেলাশাসক স্তরের আধিকারিকেরাও।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: ফুলছে পা, বাড়ছে কোমর ব্যথাও, পার্থর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত জেল কর্তৃপক্ষও
এবার ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি এবং পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েকবছর ধরে পুজো উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয় সরকার। নবান্ন থেকে কি এবার অনুদান বাড়ানো হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
বাংলার রাজনীতির কারবারিদের মতে, আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটের কথা মাথায় রেখেই এ বছর পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এ বছর সেই অনুদান কত হবে তা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এ বারের পুজোকে এক বিশেষ রূপ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
এ বছর ইউনেস্কো পশ্চিমবঙ্গের শারদোৎসবকে আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে।স্বীকৃতির সম্মানে ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বিরাট মিছিলের আয়োজন করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়ে সমস্ত আয়োজন তদারকি করছেন। ক্রীড়া, বিনোদন, বিদ্বজ্জন-সহ সব মহলের মানুষকে এই আনন্দোৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। সোমবারের এই বৈঠকে সেই আয়োজনের রূপরেখা ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Partha Arpita Case: পার্থ-অর্পিতার আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের