উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশাসনিক কাজকর্ম, বৈঠক, ত্রাণ বিলি এসবের পাশাপাশিও একটা ব্যক্তিগত-পারিবারিক কাজও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের এক সদস্যের বিয়ে রয়েছে। আর সেই নবদম্পতিকে আর্শীবাদ করাই তাঁর এই সফরের একেবারে প্রাথমিক কাজ। শিলিগুড়ি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে নিজেই সেকথা হাসিমুখে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাহাড়ের কন্য়ার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন আবেশ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছেলে। পেশায় চিকিৎসক।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পরিবারের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে পাহাড়ি মেয়ের। যে বিয়ে করছে, সেও ইয়ং ছেলে, ডাক্তার। যাকে বিয়ে করছে সেও ডাক্তার। পাত্রীটি পাহাড়ি মেয়ে। বন্ধু, দু’জন দুজনকে ভালবাসে।” তবে মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, তিনি কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে থাকেন না। তবে এই নবদম্পতি তাঁর কাছে আর্শীবাদ নিতে আসবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ” বিয়ের পর ওরা আমার কাছে আর্শীবাদ নিতে আসবে। এটাই আমার বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি।” এই বিয়ের প্রসঙ্গ বলতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের একটা রক্তের বন্ধন, হৃদয়ের বন্ধন রয়েছে। সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই।”
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল সেই বিয়ের বরকর্তা হলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু মুখ্য়মন্ত্রীর ভাইপোর বিয়েতে কেন ফিরহাদ হাকিম বরকর্তা হচ্ছেন তার কারণটাও জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, আমার ভাইপোর ভিক্ষা মা ওঁর (ফিরহাদ) স্ত্রী।
তবে শুক্রবার থেকেই ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। কার্শিয়াঙে অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁর। মিরিখে ত্রাণ বিলি করবেন মমতা। তারপরের দিন, অর্থাৎ ৯ তারিখ হাসিমারা হয়ে আলিপুরদুয়ার যাবেন। ১০ তারিখ আলিপুরদুয়ারে বৈঠক সেরে, ১১ তারিখ বানারহাটে পৌঁছবেন। সেখানে বৈঠকের পর ১১ তারিখ রাতেই উত্তরকন্যা ফিরবেন। ১২ তারিখ শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ১২ তারিখই ফিরে আসবেন সমতলে। অর্থাৎ এবারের সফরে চার জেলাতেই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।