শহরের পুজো ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতিবারের মতো সপ্তমীর দিন সেই পরিষেবা উদ্বোধন করেছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল। তবে এবারের এই পরিষেবায় একটু পার্থক্য রয়েছে। এবার নীল-সাদা রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বাসগুলি। সাজানোও হয়েছে বিশেষভাবে। ধর্মতলার ট্রাম ডিপো থেকে বাসগুলি ছাড়ে।শহর কলকাতায় মাতৃদর্শনে দু’টি আলাদা প্যাকেজে পুজো পরিক্রমা বা দুর্গাপুজো ট্যুরের সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সেগুলো হল ‘উদ্বোধনী’ এবং ‘সনাতনী’। প্রথমটি বারোয়ারি, দ্বিতীয়টি বনেদি বাড়ির পুজো দেখার সুযোগ। পাশাপাশি থাকছে ‘হুগলি সফর’-এরও ব্যবস্থা।
শনিবার শহর কলকাতার ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে যাতে সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় রূপে পুজো মণ্ডপে ঘোরানো যায়, তারই শুভ সূচনা করলেন রাজ্য পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পরিবহণ নিগমের উচ্চপদস্থ আধিকারিক বৃন্দ। জানা গিয়েছে, পরিবহণ বিভাগের বাশগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আনুমানিক ৬.৭২ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মোট ৬৭৫ টি ডব্লুবিটিসি-এর বাসে রঙিনভাবে রাঙিয়ে তোলার কাজ শুরু করা হচ্ছে।
২১, ২২ এবং ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে দিনের বেলা এসি বাসে চেপে কলকাতার বনেদি বাড়ির ঠাকুর দেখার সুযোগ। সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা অবধি চলবে সাবেকি মায়ের দর্শন। এক্ষেত্রেও রবীন্দ্রসদন চত্বর থেকে ছাড়বে বাস। ঘুরিয়ে দেখানো হবে খেলাত ঘোষ বাড়ি, শোভাবাজার রাজ বাড়ি, ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়ি (অষ্টমীতে বাদ), চন্দ্র বাড়ি, রানি রাসমণির বাড়ি, ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি এবং জোড়াসাঁকো দাঁ বাড়ি। এই প্যাকেজের মধ্যেই থাকছে সকালের জলখাবারের ব্যবস্থা। মাথাপিছু খরচ ১,৯৯৯ টাকা।