সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহুদিন আগেই ‘উধাও’ হয়ে গেছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জেরে খুব একটা বাড়ি থেকেও বেরতেন না মুকুল রায়। তাঁকে এবার ভর্তি করা হল হাসপাতালে। মুকুলের পরিবার সূত্রে খবর, না খাওয়ার সমস্যা থেকেই আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই পারকিনসন ও ডিমনেশিয়া রোগে ভুগছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারছিলেন না তিনি। শরীর সেই কারণেই অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেই কারণে কাঁচরাপাড়া থেকে কলকাতা নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা জানান চিকিৎসকরা। এরপরেই তাঁকে তড়িঘড়ি কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানান, বাবার সুগার লেভেল কিছুটা বেড়েছে। কিছুদিন ধরে বাবা ভালো করে খাওয়া দাওয়া করছিলেন না। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।উল্লেখ্য, গত প্রায় দু বছর ধরে মুকুলের শরীর ভাল যাচ্ছে না। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
এক সময়ে তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিলেন মুকুল। কিন্তু পরবর্তী কালে সেই মুকুল রায়ই বিজেপিতে যোগ দেন। গত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ১৮টি আসন জেতার নেপথ্যে তাঁর যে বড় ভূমিকা ছিল তা জনসভায় দাঁড়িয়ে খোলাখুলিই বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ।
একুশের বিধানসভা ভোটের সময়ে এহেন মুকুল রায় বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ভোটের আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁর একবার বৈঠক হয়েছিল। সেই ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে মুকুল রায় জিতে যান ঠিকই, কিন্তু ভোটের পরই তৃণমূলে যোগ দেন।