ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হল দম্পত্তির রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর, অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রেশমির দেহে গুলি এবং ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে হরিশ মুখার্জী রোডের তিনতলা একটি বাড়িতে থাকতেন ওই বৃদ্ধ গুজরাটি দম্পতি। তাঁদের তিন মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এক মেয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন। সোমবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রীর দেহ। ঘর ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় থানায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
আরও পড়ুন: Nurse protest: স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভে নার্সিং চাকরিপ্রার্থীরা, তুলে নিয়ে গেল পুলিশ
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কুকুর নিয়ে বাড়ি ও এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। পুলিশ কুকুর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গন্ধ অনুসরণ করে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে হরিশ পার্কের দিকে যায়। রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। তবে আঘাতের চিহ্ন দেখে বোঝা সম্ভব হয়নি যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে দম্পতিকে নাকি গুলি চালানো হয়েছে। যদিও গুলির শব্দ পাননি স্থানীয়রা কেউই। কিন্তু কারণ যাই হোক, কেন এই নৃশংসতা, তা এখনও রহস্য। সূত্রের খবর, ওই দম্পতির ঘরের আলমারির দরজা খোলা ছিল। ফলে লুঠের উদ্দেশ্যে এসে দম্পতিকে খুনের তত্ত্বও ওড়াতে পারছেন না তদন্তকারীরা। ঘটনার পিছনে পরিচিত কেউ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: KK Death: কেকে-র মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট