নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম। পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়া হয়। অভিযোগ, সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতেই পালটা লাঠিচার্জ পুলিশের। ফাটানো হয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল। জাতীয় পতাকা হাতে কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে বসে পড়েন মিছিলকারীরা।
এদিকে, হাওড়া ব্রিজেও চলছে তুমুল অশান্তি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশের জলকামান। ফোরশোর রোডেও ধরা পড়ে একই অশান্তির ছবি। মিছিলকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে হাওড়ায় জখম হয়েছেন ব়্যাফের এক জওয়ানের। মাথা ফেটে গিয়েছে চণ্ডীতলা থানার সিআইয়ের। এদিন প্রথমে সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙেও ফেলেন তাঁরা। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান কাজে লাগানো হয়।
ব্যারিকেডের উপরে উঠে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল এবং জমায়েত থেকেও স্লোগান উঠছে, “দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ।” বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে থাকা কালো পোস্টারেও রয়েছে এই স্লোগান। কারও কারও হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তাঁরা নবান্নে যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকা ‘নবান্ন অভিযান’ নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন অরাজনৈতিক? আয়োজকরাই স্বীকার করছেন তাঁরা আরএসএস। এরপর কারা এই আন্দোলনকে অরাজনৈতিক বলছে?’ নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের রুখতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পুলিশকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁর সাফ কথা, পুলিশ এই অত্যাচার বন্ধ না করলে পশ্চিমবঙ্গ স্তব্ধ করে দেব!