নবান্নে পৌঁছলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা নাগাদ রাজ্যের প্রধান সচিবালয় নবান্নে পৌঁছন তিনি। নবান্ন অভিযানের আগে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে দেখতে সাঁতরাগাছিতে গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। রাজীব কুমারের সঙ্গে রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকেরাও।
নবান্ন অভিযান রুখতে সতর্ক পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে গার্ডরেল কিংবা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সেগুলির উপরে দেওয়া হচ্ছে গ্রিজ এবং মোবিলের পরত। এই ভাবে আন্দোলনকারীদের আটকানোর পরিকল্পনা অভিনব বলেই মনে করছেন অনেকে।
ইতিমধ্যেই নামানো হয়েছে কন্টেনার। যাকে সরিয়ে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। হাওড়া ব্রিজের দু’দিকেই রাখা হয়েছে গার্ডরেল। ব্রিজের ওপরে উঠতেই রাখা হয়েছে কাঠের গুঁড়ি এবং অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড। সাঁতরাগাছিতে ৭ ফুটের বেশি উচ্চতায় রাখা হয়েছে গার্ডওয়াল। যা খতিয়ে দেখেছেন ডিজি রাজীব কুমার। অন্যদিকে নবান্নে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক মহিলা পুলিশও।
সকালে হাওড়া টহল দিয়েছেন সিপি। সাঁতরাগাছিতে কেবল সরকারি গাড়ি চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ড্রোন উড়িয়ে ওপর থেকে নজর রাখা হচ্ছে। রাখা হয়েছে জল কামান।ছাত্র সমাজের এই নবান্ন অভিযানকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ। সারা দিনের বৃষ্টিতে কতটা সফল হয় নবান্ন অভিযান, পুলিশি প্রোতিরোধই বা কেমন হয়, এখন সেটাই দেখার।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে গোলমাল, অশান্তি ঠেকাতে পুলিশের নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনির জেরে কার্যত পরিবহণ বনধের চেহারা হাওড়া শহরে। যদিও পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি, বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি চলাচলের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিক ও চালকরা গাড়ি না চালালে তার দায় প্রশাসনের নয়।
বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জুড়ে ব্যারিকেড থাকায় গাড়ি চালাতে ও যাত্রী পেতে অসুবিধার কারণে তাঁরা বাস, মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। হাওড়া শহরের বাসিন্দাদের অধিকাংশই বেসরকারি পরিবহণের ওপর নির্ভরশীল। নবান্ন ও তার লাগোয়া এলাকা জুড়ে সারি সারি ব্যারিকেডের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ জিটি রোড, আন্দুল রোড, ফোরশোর রোড।