কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘনীভূত হল রহস্য। হর্ষ চৌধুরী নামে ১৯ বছরের ওই কিশোরের দেহ পাওয়া গেল একটি জিম-এর সামনে। যে জিমে সে ব্যায়াম করতে যেত। মৃতের বাড়ি নাকতলায় নেতাজি নগর হাইস্কুলের বিপরীতে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জিমে যাচ্ছেন বলে সকাল সোয়া সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হর্ষ । তার পর নিখোঁজ হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সেই জিমের বাইরে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, তরুণের মা গিয়ে দেখেন, জিমের বাইরে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছে ছেলে। তাঁর হাত পায়ে একাধিক আঘাত। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হর্ষকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা আবার সরকারি হাসপাতালে পাঠায়। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মৃতের মা জানাচ্ছেন, ‘জিমের প্রবেশপথের কাছে গিয়ে দেখি পা-হাত বীভৎস ভাবে ভাঙা। পায়ের দিকটা ফেটে গেছে। রক্ত বেরোয়নি শুধু। পা ভেঙে একেবারে টুকরো হয়ে ঝুলছিল। বাঁ দিকের হাতটা ভাঙা।’ তিনি আরও জানান, ‘হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয়বার যখন পুলিশ আমায় ঘটনাস্থল দেখাতে বলে, তখন ওই বিল্ডিংয়ে কাজ করেন এক মহিলা জানান ছেলেকে ধপ করে পড়ে যেতে দেখেন তিনি। জানান, সম্ভবত অন্য কোথাও ধাক্কা খেয়ে এখানে এসে পড়ে যায়। কারণ ঘটনাস্থলে তেমন রক্ত ছিল না। মুখ থেকে তখন লালা পড়ছিল।’
মৃত তরুণের মা অভিযোগ করছেন ‘হিট অ্যান্ড রানের’। তাঁর মতে, ‘বাইরে কোথাও ধাক্কা খেয়ে বাঁচার আশায় বিল্ডিংয়ের কাছে গিয়েছিল ছেলে। ভেবেছিল হয় তো কেউ তাঁকে উদ্ধার করবে।’ কেন এবং কী কারণে এই কিশোরের মৃত্যু তা জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে পুলিশ।