জাগো বাংলা’র সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের । সম্পাদক হিসাবে বহুদিন মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলেছেন মহাসচিব নিজেই । অন্তত মঙ্গলবার সকালে প্রথম পাতার শীর্ষ সংবাদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম যেখানে উচ্চারিত হয়েছে তার আগে দলের ‘মহাসচিব’ বা ‘মন্ত্রী’ এই দুই পদের কোনটিরও উল্লেখ নেই (Jago Bangla removed the designation of Partha Chatterjee before his name)। শুধু লেখা রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম । রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, ‘এটা কি ইচ্ছাকৃত?’ !’
দলের মুখপত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামের পাশ দিয়ে মহাসচিব বা মন্ত্রীদের পরিচয় সরিয়ে দিয়ে আদতে কি কোনও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হল ? নাকি দলের তরফ আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়া হল যে, প্রকাশ্যে দল তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ বা বহিষ্কারের মত সিদ্ধান্ত না নিলেও অঘোষিতভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে ।
গত শনিবার 27 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি । বিকেলেই দলের তরফ থেকে ক্যামাক স্ট্রিটে বৈঠকে বসেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব । সেই বৈঠকে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রমুখ ।
গ্রেফতারের চরম মুহূর্তে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নামটাই বলেছিলেন বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রের। এবং সেই কারণেই মন্ত্রীর ‘অ্যারেস্ট মেমো’য় তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লিখেছেন বলে দাবি ইডি কর্তাদের। এই ঘটনায় বেজায় রুষ্ট তৃণমূল।
ইডি অফিসারেরা জানতে চেয়েছিলেন, ‘আপনি কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলছেন?’ পার্থ মাথা নাড়াতে ইডি-র কর্তা প্রশ্ন করেন, ‘এখন গভীর রাত। অনারেবল সিএম কি এখন আপনার ফোন ধরবেন?’ ইডি সূত্রের দাবি, জবাবে পার্থ বলেন, ‘‘যত রাতই হোক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ফোন ধরবেন।’’ কিন্তু, কেন মুখ্যমন্ত্রী? ইডি সূত্রের দাবি, তখনই পার্থ জানান, মমতা তাঁর ‘পরমাত্মীয়’।