অস্বস্তিতে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। ভাঙড়ের বিধায়কের চালকের বিরুদ্ধে মামলা হল জামিন অযোগ্য ধারায়। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিধায়কের চালকের বিরুদ্ধে।
গত দুদিন ধরে জয়নগর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। মঙ্গলবার দুপুরে জয়নগর যাওয়ার চেষ্টা করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। গোচরণে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। বাধ্য হয়ে কলকাতা ফিরতে হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, ফেরার পথে বাইপাসের কালিকাপুর এলাকায় বিচারপতি চন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে ধাক্কা দেয় নওশাদের গাড়ি বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে। দুপুর ২ টো ৫৬ মিনিট নাগাদ দুই গাড়ির রেষারেষি চলে। পরে ধাক্কা লাগে বলে অভিযোগ। ইএম বাইপাসের ওপর দিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। কোনও ক্রমে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় গাড়ি দুটি। গাড়ি থেকে নেমে নওশাদের গাড়ির চালকের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিচারপতির চালক। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী বিচারকের চালককে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী। এই বিষয়ে নওশাদ জানান, মঙ্গলবার তিনি জয়নগর যাচ্ছিলেন। সেই সময় দেখেন তাঁর কনভয়ের গাড়িকে বারবার চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছে একটি গাড়ি। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিধায়ক আরও জানান, তাঁর গাড়ির পিছন থেকে ওভারটেক করে এসে সামনে দাঁড়ায় ওই গাড়িটি। সেই সময় আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন নওশাদ। অন্য গাড়িতে ছিলেন এক ব্যক্তি ও এক মহিলা। তাঁদের ডেকে বিধায়ক জানান, তাঁদের গাড়ির চালক যেভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ওই ঘটনার পর যে মামলা হয়েছে, তা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন নওশাদ।