New Town: Bodies found in Newtown of husband and wife with injured child around

New Town: মেঝেতে স্ত্রীর গলা কাটা দেহ! কন্যার গলাতেও আঘাত, শেষে আত্মঘাতী যুবক

কলকাতার উপকণ্ঠে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার। একই সঙ্গে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের কন্যা সন্তানকেও। স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তবে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে গলায় ধারালো কিছুর আঘাতে। ১৪ বছরের কিশোরী কন্যার দেহেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের নারায়ণপুর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি ফ্ল্যাট থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সম্পর্কে দু’জন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের নাম যথাক্রমে সাগর মুখোপাধ্যায় ও রূপা মুখোপাধ্যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে অনুমান। দম্পতির মেয়ে রূপসার শরীরেও গভীর ক্ষত রয়েছে, তবে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। রুপসা কে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাগরের ওষুধের ব্যবসা ছিল। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিকেলের দিকে সাগর-রূপাদের বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পান তাঁরা। প্রথমে কেউ পাত্তা না দিলেও পরে গোলমাল শুনে সেখানে ছুটে যান অনেকে। ভিতরের কাণ্ডকারখানা দেখে পড়শিরাই পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার গৌরব শর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছি। সম্ভবত আর্থিক কিছু সমস্যা ছিল পরিবারটির। দু’জনের দেহ আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। মেয়েটি বেঁচে আছে। সে সুস্থ হলে তার বয়ান নেওয়া হবে এবং তার ভিত্তিতে তদন্ত এগোবে। ব্লেড এবং দড়ি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আরও বিশদে বিষয়টি বোঝা যাবে।’’

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে স্ত্রী এবং কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন সাগর। স্ত্রীকে মারতে পারলেও কন্যাকে মারতে পারেননি। সাগরের কর্মসূত্রে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।