নির্ধারিত সময়ের আগেই ইডির দফতরে পৌঁছে গেলেন নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল ১১টার সময় তলব করে ইডি। নুসরত সকাল ১০টা ৪৩ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছে যান। হাতে নথি নিয়ে তাঁকে ইডির দফতরে ঢুকতে দেখা যায়। তদন্তে তিনি সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মাসখানেক আগে বিজেপি (BJP) নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা কয়েকজনকে নিয়ে এক সন্ধেবেলা ইডি দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূলের তারকা সাংসদ ((TMC MP) নুসরত জাহান সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্টাচারের ডিরেক্টর পদে থাকাকালীন ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। এখন সেই টাকা ফেরত চান তাঁরা। ইডি যেন বিষয়টির তদন্তে নামে।
তবে ওই ঘটনার পর পরই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরত জানান, অভিযোগ যখন করা হয়েছে, তার অনেক আগেই তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জানান যে, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধ করে দিয়েছেন। যদিও ওই সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিং এক সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি তো নুসরতের ওই কথা শুনে শক্ড! আমরা কোথায় ঋণ দিলাম? আমরা তো প্রপার্টিতে পেমেন্ট করেছি। উনি তো অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।’’ নুসরতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ না নিয়ে কেন একটি কোম্পানির তরফ থেকে ঋণ নিলেন? এ কথা শুনেই তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Unnatural Death: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার ট্র্যাফিক সার্জেন্টের ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যু ঘিরে রহস্য
নুসরত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তাঁকে ইডি ডাকবে না। কিন্তু গত সপ্তাহে আচমকা ইডি নুসরতকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করে। ইডির তরফে জানানো হয়, ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাই মঙ্গলবার ইডি দপ্তরে তলব করা হয়েছে। নুসরত অবশ্য তলবের খবর শুনে জানিয়েছিলেন, ”অবশ্যই যাব, সহযোগিতা করব।” সেই কথা রেখেই মঙ্গলবার সময়ের আগেই তিনি পাম অ্যাভিনিউর বাড়ি থেকে পৌঁছে গেলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।
সোমবার নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফ্ল্যাট প্রতারণা সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি ছিল নিম্ন আদালতে। সেই শুনানিতে আদালতের নির্দেশ নুসরতের পক্ষে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রীর আইনজীবী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ ডিসেম্বর।