সংসদ হামলায় অভিযুক্ত ললিত ঝার বন্ধু নীলাক্ষ আইচের বাড়িতে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাকপুর কমিশনারেটের তরফে কয়েকজন ওই যুবকের হালিশহরের বাড়িতে যান। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। শোনা যাচ্ছে, তদন্তের স্বার্থে দিল্লি পুলিশ আধিকারিকরা আসতে পারেন হালিশহরে।
সংসদ হানার ঘটনায় উঠে এসেছে কলকাতা যোগ। অভিযুক্ত ললিত ঝাকে খুঁজছে পুলিশ। ললিতের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে হালিশহরের নীলাক্ষ আইচের নাম। তিনি বিধাননগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি সময় সুযোগে সমাজসেবার কাজও করেন তিনি। জানা গিয়েছে, এনজিও-তে কাজের সুবাদেই কোনওভাবে ললিতের সঙ্গে পরিচয় হয় হালিশহরের যুবকের।
নীলাক্ষর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ললিত ঝা নিজেকে সোশাল মিডিয়ায় সমাজকর্মী বলে পরিচয় দেয়। সেই পরিচয়েই নীলাক্ষর সঙ্গে আলাপ। ললিত মধ্য কলকাতায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। দেড় বছর আগে সেই বাড়িতে তালা দিয়ে চলে যায়। গুরুগ্রামে থাকতে শুরু করে। নীলাক্ষরা যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে জড়িত, তা কলকাতা ছাড়াও পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করে। বুধবার দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে নীলাক্ষকে হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) সংসদে গ্যাস হামলার ভিডিও পাঠায় ললিত। নীলাক্ষ তার কাছে জানতে চান, কীসের ভিডিও? কোথায় এমন হামলা হল? তার জবাবে অবশ্য ললিত কিছু বলেনি বলেই জানান নীলাক্ষ। সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই জেরার মুখে নীলাক্ষ।
সূত্রের খবর, পুলিশ ইতিমধ্যেই নীলাক্ষর মোবাইল সার্চ করে দেখেছে। ললিতের সঙ্গে তাঁর কী যোগাযোগ কিংবা কী কী কথাবার্তা চলত, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পাশাপাশি সংসদের ওই তাণ্ডবের ঘটনার আগে কি মোবাইলে নীলাক্ষর সঙ্গে কোনও কথা চালাচালি হয়েছে ললিতদের? সেই বিষয়টিও তদন্তের আওতায় রেখেছে পুলিশ।
ললিতের সঙ্গে নীলাক্ষের যোগাযোগের বিষয়ে সম্ভব্য সব দিকগুলি খতিয়ে দেখতে চান জেটিয়া থানার পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের আইবি বিভাগের অফিসাররা। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, নজরবন্দি রাখা হতে পারে নীলাক্ষকে।