Arpita Mukherjee: ED officers starts counting of notes in Arpita’s belgharia flat

Arpita Mukherjee: ফের অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২০ কোটি, ৩ কেজি সোনা!

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Bengal Recruitment Scam) তদন্তে সবচেয়ে বড় চমক মিলেছিল গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ৷ সেদিন টালিগঞ্জে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় 21 কোটির বেশি টাকা ৷ এবার টাকার হদিশ মিলল অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাটে ৷ বুধবার ইডি সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷

বুধবার সকালে বেলঘরিয়ার রথতলার অভিজাত আবাসনে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে ব্লক ২ এবং ব্লক ৫-এ মোট দু’টি ফ্ল্যাট ছিল অর্পিতার (Arpita Mukherjee)। ফ্ল্যাট তালাবন্দি থাকায় সেখানে প্রথমে ঢুকতে পারেননি আধিকারিকরা। এরপর একজন চাবিওয়ালাকে ডাকা হয়। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখে ভয় পেয়ে কার্যত ছুটে পালান তিনি। এরপর তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকেন আধিকারিকরা। বিকেলের দিকে প্রিন্টার হাতে উচ্চপদস্থ ইডি আধিকারিককে ঢুকতে দেখা যায়। তবে কি বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাটেও বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে।

আরও পড়ুন: ২০২৪-এ BJP আসবে না, আসবে না, আসবে না’, চ্যালেঞ্জ আত্মবিশ্বাসী Mamata Banerjee-র

সন্ধ্যা থেকে চারটি নোট গোনার যন্ত্র দিয়ে চলে টাকা গোনা। ইডি সূত্রে খবর, প্রথম রাউন্ডে ১৫ কোটি টাকা গোনা সম্ভব হয়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আরও ৫ কোটি টাকা গোনা হয় বলে খবর পাওয়া যায়। ফলে এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি টাকা গুনতে পারলেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সোনার বাট। যার বাজারমূল্য অন্তত এক কোটি টাকা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার হয়েছে রৌপ্যমুদ্রাও। বেশ কিছু দলিলও পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। টাকা গুনতে রাত পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ইডি।

সূত্রের খবর, টাকা গোনার যে যন্ত্রগুলি আনা হয়েছে তা অত্যাধুনিক। পরিভাষায় ‘কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন’। এই যন্ত্র দিয়ে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে ১০০টি নোট পর্যন্ত গোনা সম্ভব। সাধারণত কারেন্সি চেস্টে বড় অঙ্কের টাকা গুনতে এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর থেকেই মনে করা হচ্ছে, টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করতে চলেছে ইডি।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ৩৮ তৃণমূল বিধায়ক’, ‘শীতঘুম’ কাটিয়ে দাবি মিঠুনের