প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁর সেলের বাইরে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ভাতের বায়না এবারও করেছেন পার্থ। তবে তাঁকে অল্প ভাত দেওয়া হয়েছে। জেল সূত্রে খবর, পা ফোলার সঙ্গে বেড়েছে পার্থর কোমর ব্যথা। তবে তিনি কোনও রকমের অতিরিক্ত সুবিধা নেবেন না, জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন পার্থ।
প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলে ঠাঁই হয়েছে পার্থের এবং ওই ওয়ার্ডের সব বন্দির স্নানের জন্য যে একটি মাত্র শৌচালয় রয়েছে, শুক্রবার জেলে আসার পর থেকে সেখানে গিয়ে তাঁর স্নান করা হয়ে ওঠেনি। তাঁর সেল থেকে বেরিয়ে একটু হেঁটে ওই চানঘরে যেতে হয়। রবিবার তিনি ঠিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না বলে জানান চিকিৎসকদের। তাই তাঁর ওয়ার্ডের সামনে একটি বড় ড্রামে জল দেওয়া হয়। সেই ড্রাম থেকে প্লাস্টিকের মগে জল তুলে প্রাক্তন মন্ত্রী এ দিন কোনও রকমে স্নান সারেন। একটি অতিরিক্ত তোয়ালে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: পার্থের হাতে থাকা তিন দফতর তিন মন্ত্রীকে দিলেন মমতা, একাধিক দপ্তর বাবুলের, দায়িত্বে কাটছাঁট ফিরহাদের
জেল সূত্রের খবর, দুপুরে স্নানের জন্য পার্থ যখন সেলের বাইরে আসেন, সেই সময় ওয়ার্ডের অন্যান্য সেলের বন্দিদের তাদের কুঠুরিতে আটকে রাখা হয়। শুধু এ দিন স্নানের সময়েই নয়, পার্থকে যখনই ওয়ার্ডের বাইরে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তার আগে ওয়ার্ডের অন্য বন্দিদের ঘরের ভিতরে বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য পার্থের সেলে একটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। স্নানের সময়টুকু ছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা তিনি ওয়ার্ডের ভিতরেই ছিলেন। ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন সেলে আছে আফতাব আনসারি ও মুসার মতো হাইপ্রোফাইল দণ্ডিত বন্দি। আছেন ছত্রধর মাহাতো এবং একাধিক মাওবাদী বিচারাধীন বন্দিও।
জেলের খবর, মন্ত্রী প্রায় সারা দিনই ঘুমিয়েছেন। চিকিৎসকদের পরিদর্শনকালে, স্নানের আগেও তিনি অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন। সকালে তাঁকে দেওয়া হয় মাখন-টোস্ট বিস্কুট। জেলের নিয়ম অনুযায়ী রবিবার আমিষ খাবারের ব্যবস্থা ছিল। দুপুরে ভাত, ডাল, তরকারি ও মাছের ঝোল খেয়েছেন পার্থ। রাতেও ভাত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। রবিবার পার্থর সঙ্গে জেলে কেউ দেখা করতে আসেননি। সোমবার, তাঁর আইনজীবীর আসার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ৫ বছরে ববি-মদনদের এত সম্পত্তি কিভাবে? মামলায় ইডিকে জুড়ল হাই কোর্ট