পায়ের সমস্যা থাকায় আপাতত ঘরবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দীর্ঘদিন পর পুজো কার্নিভালের (Puja Carnival) জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তিনি। যাবতীয় নানা কাজ বাড়ি থেকেই করছেন। বাকিটা সময় অবসরে কাটাচ্ছেন। আর এই ফুরসতেই ফের কবির (Poet) ভূমিকায় ধরা দিলেন মমতা।
‘আমার লক্ষ্মী আজকের দিনে সবারে করে আহ্বান, আমার লক্ষ্মী ক্লান্তি ভুলে গায় জীবনের জয়গান। আমার লক্ষ্মী গ্রাম-গঞ্জে মাটির ঘরের আলো, আমার লক্ষ্মী মুড়ি-পেঁয়াজে শান্তির দূত ভাল। আমার লক্ষ্মী বিদ্যালয়ে গায় সরস্বতীর সুর, আমার লক্ষ্মী গান-বাজনায় জয় করে দূর-সুদূর।’ কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন এই কবিতাই লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যা ইতিমধ্য়েই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সপ্তাহ খানেক আগেই গিয়েছে দুর্গাপুজো। কিন্তু, পুজোর রেশ এখনও বাংলার আকাশে বাতাসে। শনিবারই ছিল আবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। সেদিন ফের কলম ধরতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘আমার লক্ষ্মী’ বলে একটি কবিতা কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন ফেসবুকে পোস্ট করেন মমতা। যা ইতিমধ্যেই ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত মমতার ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। শেয়ার করেছেন দেড় হাজার মানুষ।
দীর্ঘদিন ধরেই সাহিত্যচর্চা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সময়-সুযোগ পেলে আবার ছবিও আঁকেন। গতবছর ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের আকাদেমি পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে।কবিতার ছত্রেছত্রে রয়েছে সামাজিক ভেদাভেদ দূরীকরণ, প্রান্তিক মানুষদের কাছে টানার বার্তা। মমতার লেখনীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। পোস্টের কমেন্ট বক্সে গেলে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে উৎসবের শুভেচ্ছা বার্তাও জানিয়েছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকেই সাহিত্য চর্চা করে আসছেন মমতা। গত বছর বাংলা আকাদেমি পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।