১০ বছর পর ফের কলকাতায় মিলল পোলিওর (Polio Virus) জীবাণু। মেটিয়াবুরুজের একটি নর্দমা থেকে পোলিওর জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে স্বাস্থ্যদপ্তর। শিশুদের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা পুর এলাকার ১৫ নম্বর বোরোর মেটিয়াব্রুজ এলাকায় গত মার্চ মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরদারির সময় মিলেছে লাইভ পোলিও ভাইরাস বা ভিডিপিভি টাইপ-১। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এরপরই গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো শুরু হয়েছে দফতরের তরফে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও পোলিও আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি ওই এলাকায় (Polio In Kolkata)।
তাঁরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত কোনও ‘ইমিউনো ডেফিসিট’ শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়েছিল। তার শরীরে গিয়েই মিউটেট করে ভাইরাসটি। তারপর খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগের ফলে ভাইরাসটি বাইরের পরিবেশে চলে আসে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়বে কিনা, সেই আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পোলিও রুখতে আরও সতর্ক হয়েছে স্বাস্থ্যভবন। সতর্ক পুরসভাও। করোনাকালে ঠিকমতো টিকাকরণ না হওয়ার ফলেই আবার পোলিও জীবাণু পাওয়া গেল বলে মনে করছেন ওই বোরোর চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: Roddur Roy:‘ওই ভাষা মুখে আনা যায় না’, ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে রোদ্দূর রায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪-য় ভারতকে পোলিও-মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণার পর, সারাবছর ধরেই নজরদারি চালানো হয়। এর আগে হায়দরাবাদে নর্দমার জলের নমুনাতেও এ ধরনের ভ্যাকসিন ডিরাইভড পোলিও ভাইরাস মেলে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওয়াইল্ড পোলিও ভাইরাসে সংক্রমিত হয় মানুষ। এটা সেই জীবাণু নয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এই ফলাফলে দুটি জিনিস স্পষ্ট।
- এক, রাজ্যে পোলিও নজরদারি ভালোভাবে হচ্ছে।
- দুই, মেটিয়াবুরুজ এলাকায় পোলিও টিকাকরণ হয়েছিল।তারপরেও জীবাণু মেলায় নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, ওই জীবাণু থেকে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তার ওপরেও নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: Roddur Roy: আরও ৭ দিন জেলে, জামিন হল না বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দূর রায়ের