গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই রবীন্দ্র সদনে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে অনেক ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাই তো রবীন্দ্র সদনে দাঁড়িয়েই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, কেওড়াতলা মহাশশ্মান পর্যন্ত হেঁটে যাবেন। এই মুহূর্তে শকটবাহী গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিল্পীর নিথর দেহ। সেই গাড়ির পিছনে পায়ে পায়ে এগোচ্ছে মিছিল। আর তাতে যোগ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে সন্ধ্যা-কে শ্রদ্ধা জানাতে সরাসরি রবীন্দ্রসদনে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস, মালা রায়, শান্তনু সেন–সহ আরও অনেকে। এখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনবিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে মালা দেন গীতশ্রীর গলায়। উত্তরীয় পরিয়ে শেষ জানান। কিছুক্ষন চুপ করে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: #OnePersonOnePost: মমতার ডাকে শনিবার কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক, শীর্ষ নেতাদের থাকতে নির্দেশ
এদিন পদ্মশ্রী ইস্যুতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ব্যথিত হওয়ার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “অনেক দিয়েছেন। কিন্তু জীবনে কিছুই পাননি। মানুষের ভালবাসা একটা পদ্মশ্রীতে হয় না। কিন্তু ওনার অনেক আগে আরও বড় সম্মান পাওয়ার ছিল। শেষ বয়সে ধাক্কা খেলেন। চরম অপমানিত বোধ করেছেন।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার কিছু বলার ভাষা নেই। আমি শোকাহত।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা ছিল গীতশ্রীর দেহ। বুধবার পিস ওয়ার্ল্ড থেকে গায়িকার মরদেহ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি-র সভাপতি ছিলেন। বেলা ১২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত গীতশ্রীর দেহ রাখা ছিল রবীন্দ্র সদনে। এই মুহূর্তে মৃতদেহ নিয়ে কেওড়াতলা শ্মশানের পথে যাত্রা শুরু হয়েছে। রাস্তায় উপচে পড়া ভিড়।
আরও পড়ুন: বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য গীতশ্রীর, সফর কাঁটছাট করে ফিরছেন মমতা