শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (Karnataka Hijab Row) ধর্মীয় চিহ্ন বহনকারী হিজাব পরে কেন ছাত্রীরা আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ৷ এই হিজাব বিরোধীদের একহাত নিলেন চন্দ্র বসু৷ হিন্দু মেয়েদের শাখা-পলা, সিঁদুর পরার প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা হিন্দুত্ববাদীদের দিকে আক্রমণ শানালেন তিনি৷বুধবার চন্দ্র বসু (Chandra Kumar Bose) টুইটে লেখেন, যদি হিজাব নিষিদ্ধ হয় তাহলে শাখা-পলা, সিঁদুর, পাগড়ি, সব রকমের ধাগাও নিষিদ্ধ করা হোক৷ তবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র এই হিজাব বিতর্কের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতির গন্ধ পেয়েছেন৷ তাঁর মতে, ভোটে জিততে ধর্মীয় মেরুকরণ রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।
Rules are rules. If Hijabs are banned, then put ban on Sindoor, Shankha-Pola, Turbans, Kara, all kind of Dhagas, Talismans etc.
— Chandra Kumar Bose (@Chandrakbose) February 9, 2022
হিজাব নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। অথচ এটি বিতর্কিত কোনও ইস্যুই নয়। কিন্তু বিদ্বেষীদের সৌজন্য এটি এখন জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্টে৷ এদিনই সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে৷ ওই বেঞ্চই ঠিক করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের হিজাব পরাটা কতটা যুক্তিযুক্ত৷ লক্ষ্যণীয় ভাবে, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ঠিক মুখে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে হঠাৎ করে স্কুল-কলেজে হিজাব পরা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ অথচ এতদিন হিজাব পরে দিব্যি স্কাস করছিল পড়ুয়ারা৷
চন্দ্র বসুর মনে করছেন বিষয়টা আদৌ হিজাব নয়৷ যে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতান্ত্রিকতা ও গণতান্ত্রিকতা দেশের নাগরিকদের ন্যায়, সমতা, স্বাধীনতার আশ্বাস দেয় এবং সৌভ্রাতৃত্বের প্রচার করে তাকে ধ্বংস করা৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, গেরুয়া হল ত্যাগের প্রতীক৷ তাই গেরুয়াকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ হোক৷ গেরুয়া দলগুলিকে তাঁর খোঁচা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মীয় চিহ্ন ব্যবহার করে সেগুলিও নিষিদ্ধ করা দরকার৷